ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ১৫:৫৩:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জ্বালানি সংকটে হুমকিতে সেবা কার্যক্রম, ঝুঁকিতে গাজার শিশুরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

গাজা উপত্যকায় চলমান জ্বালানি সংকটে হাসপাতাল ও শিশুদের স্থাপনাগুলোতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি নামতে পারে উদ্বেগ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে চিকিৎসা কার্যক্রমে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেন, ফিলিস্তিনির অন্তত পাঁচটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি না থাকায় জেনারেটরগুলো অকেজো হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে বাইত হানুন হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

কুদরা বলেন, গাজা হাসপাতালে কয়েক হাজার রোগী মারাত্মক পরিণতির হুমকিতে রয়েছেন। শীতল আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ সংকটে জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। পাঁচ হাসপাতালে মাত্র ১৭ শতাংশ জ্বালানি মজুদ রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কৃচ্ছ্রতা পদক্ষেপ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

আশরাফ আল কিদরা বলেন, জ্বালানি স্বল্পতার কারণে গাজার বড় বড় হাসপাতালের জেনারেটরগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সংকট নিরসনে এখন পর্যন্ত সব পক্ষের কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।

আল রানতিসি হাসপাতালে সুফিয়ান সালেম নামে এক ফিলিস্তিনি তার এক বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছিলেন। বাচ্চাটির শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা রয়েছে।

সালেম বলেন, এটি আমার ছোট ছেলে। তার শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে। এতে তার চেহারা নীল হয়ে যায়। ওর সমস্যা দেখা দিলে যে কোনো সময় হাসপাতালে ছুটতে হয় আমাদের।

পাঁচ সন্তানের বাবা সালেম বলেন, হাসপাতালের জ্বালানি সংকটের খবরে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এটি বিশাল বিপর্যয়। যদি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যায়, তবে আমরা কোথায় যাব? এতে সব শিশু রোগী মারা যাবে। কেবল আমার শিশুই বিপদে পড়বে না।

প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত ১৩টি হাসপাতাল ও ৫৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। গাজায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের ৯৫ শতাংশই এসব হাসপাতাল ও সুরক্ষা কেন্দ্র থেকে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ইসরায়েলি অবরোধে থাকা গাজা উপত্যকা ২০০৬ সাল থেকে তীব্র বিদ্যুৎ সংকটকে মোকাবিলা করে যাচ্ছে।

-জেডসি