কোচিং করাতে পারবেন না সরকারি শিক্ষকরা: হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৬:২৭ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যে বন্ধে ২০১২ সালে প্রনীত সরকারের নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট বলেছে, এতে শিক্ষকদের ছাত্র পড়িয়ে অর্থ আয়ের পথ সীমিত হচ্ছে। এছাড়া সরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য করতে পারবেন না নির্দেশ দেয় আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
গত ২৭ জানুয়ারি কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা ও এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ করা হয়। ওই রুলের ওপর রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। আর এক রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। অ্যামিকাসকিউরি ছিলেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান জানান, আদালতের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারের নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করায় এ বাণিজ্য বন্ধ হলো। এ কারণে ক্লাসে পাঠদানের বাইরে মাসে ১৭৩ টাকা করে যে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার বিধান করা হয়েছে তার বাইরে কোনো কোচিং করাতে পারবেন না শিক্ষকরা।
কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সেজন্য সরকার ২০১৮ সালে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ নোটিশ দেয় সরকার।
এসব নোটিশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই চিঠির কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করে। ওই আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ রুলের নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ২৭ জানুয়ারি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হলো।
-জেডসি
