দাবাড়ু রানী হামিদের জন্মদিন আজ
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ শনিবার
দাবাড়ু রানী হামিদ
মুখ নয় কথা বলে হাতের আঙুল। হাত দিয়ে তিনি করেছেন বিশ্ব জয়। দেশের জন্য বয়ে এনেছেন অপার সম্মান। দেশের বাইরে থেকে একের পর এক সুখ্যাতি বয়ে আনা সেই কিংবদন্তি দাবাড়ু রানী হামিদের জন্মদিন আজ শনিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি।
সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৪৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেন দেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক দাবা মাস্টার রানী হামিদ।
পুরো নাম সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন ও ডাক নাম রানী হলেও ক্রীড়াজগতে তিনি রানী হামিদ নামেই পরিচিত। দাবাড় প্রতি ভালোবাসা ছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। আর তাই পুলিশ কর্মকর্তা বাবা সৈয়দ মমতাজ আলীর কাছেই তিনি প্রথম দাবার হাতেখড়ি নেন। তবে পেশাদার দাবাড়ু হিসেবে তিনি নাম লিখিয়েছেন বিয়ের পরে। এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদের।
তিনি প্রথম ১৯৭৬ সালে ‘মহসিন দাবা প্রতিযোগিতায়’ অংশগ্রহণ করেন প্রতিবেশি ড: আকমল হোসেনের সহযোগিতায়। পরে নবদিগন্ত সংসদ ফেডারেশন কর্তৃক নারীদের জন্য আয়োজিত দাবা প্রতিযোগিতায় ১৯৭৭ সাল থেকে শুরু করে পরপর তিন বছর চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।
এরপর দেশে ও বিদেশে একের পর এক অংশগ্রহণ করেছেন দাবা প্রতিযোগিতায়। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি দেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান।
১৯৭৯ থেকে শুরু করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ১৯ বার জাতীয় মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ১৯৮৫ সালে পান আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার উপাধি। ২০১৫ তে ‘কমনওয়েলথ দাবা চ্যাম্পিয়নশীপ’-এ বাংলাদেশের হয়ে জয় করেন স্বর্ণ পদক। ব্রিটিশ নারী দাবা প্রতিযোগিতায় তিনবার হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন। ২০১৮ সালে জেতেন জর্জিয়ার জার্নালিষ্ট চয়েস পুরস্কার।
এছাড়াও দাবার বিশ্বকাপ খ্যাত ‘দাবা অলিম্পিয়াড’ এ অংশ নিয়েছেন অসংখ্যবার। দাবা খেলার স্বীকৃতি হিসেবে নাম লিখিয়েছেন বিশ্ব গিনিজ রেকর্ড বুকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা।
কিংবদন্তি দাবাড়ু রানী হামিদের বাবার বদলির চাকরির সুবাদে শিক্ষাজীবন কেটেছে দেশের বিভিন্ন স্কুলে। পরবর্তীতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিবাহিত জীবন শুরু করা এই ক্রীড়াবিদ ইডেন কলেজ থেকে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রি পাস করেন।
দাবা খেলার ওপরে বই-ও লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখা ‘মজার খেলা দাবা’ বইটি আধুনিক দাবা খেলার ওপর লেখা বাংলাদেশের প্রথম বই।
ব্যক্তিগত জীবনে সফল দুই ক্রীড়াবিদের মা তিনি। সন্তান কায়সার হামিদ ছিলেন ১৯৮০-এর দশকের একজন খ্যাতনামা ফুটবল খেলোয়ার। স্কোয়াশের তারকা খেলোয়াড় জাহাঙ্গীর হামিদ সোহেল তাঁর আরেক সন্তান।
