ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩১:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘নভেরার রূপ’ : সাখাওয়াত টিপুর ব্যতিক্রমী কাজ

শারমিন সুলতানা

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৩ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার

‘নভেরার রূপ’ : সাখাওয়াত টিপু

‘নভেরার রূপ’ : সাখাওয়াত টিপু

যার আঙুলের স্পর্শে একের পর এক সৃষ্টি হয়েছে অসাধারণ সব শিল্পকর্ম। বাংলাদেশ তথা পূর্ববঙ্গের ভাস্কর শিল্পের বিকাশ ঘটেছে যে কিংবদন্তীর হাত ধরে সেই কিংবদন্তী ভাস্করের নাম নভেরা আহমেদ। বিংশ শতাব্দির প্রথম আধুনিক ভাস্কর তিনি। 
  
এবারের একুশে বইমেলাতে এই কিংবদন্তী ভাস্কর নভেরা আহমেদকে নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘নভেরার রূপ’ নামের বইটি। তাঁর শিল্প সমালোচনার উপর ভিত্তি করে ‘নভেরার রূপ’ নামে বইটি লিখেছেন কবি ও প্রাবন্ধিক সাখাওয়াত টিপু। 

আদর্শ প্রকাশনী প্রকাশিত বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে শিল্পীর আত্মপরিচয়। পাশাপাশি পরবর্তীতে শিল্প কিভাবে শিল্পীর আত্মপরিচয় বহন করেছে সে সম্পর্কেও রয়েছে আলোচনা।এছাড়াও বইটিতে সমকালীন ৮ জন শিল্পীর আঁকা নভেরা আহমেদের পোর্ট্রেট সংযোজন করা হয়েছে। 

কাজের ক্ষেত্রে নভেরা ব্রিটিশ ভাস্কর হেনরী মূর দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। এই শিল্পীর কাজের প্রধান বিষয়বস্তু ছিল নারী প্রতিমূর্তি।  তিনি অন্য শিল্পীদের মতো নারীকে শুধু মা, কন্যা বা স্ত্রী রূপে প্রকাশ করেননি। তাঁর শিল্পকর্মে প্রকাশ পেয়েছে নারীর কর্মময় জীবন। তিনি তাঁর শিল্পকর্মে লোকজ ফর্মের সাথে সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন পাশ্চাত্যের বিভিন্ন ফর্মের। ফলে তাঁর তৈরি শিল্পকর্মগুলো স্বকীয়তায় রূপ নিয়েছে। শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে তিনি সবসময় আধুনিক চিন্তাধারাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। নভেরা আহমেদের নাম জড়িয়ে আছে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের নকশা প্রণেতা হিসেবেও। এ সব তথ্যই বইটিতে উপস্থাপন করেছেন লেখক সাখাওয়াত টিপু।

নভেরা আহমেদ জীবনের অনেকটা সময় ছিলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। আর তাই অনেকের কাছেই তাঁর ব্যক্তিগত ও শিল্পজীবন দুটোই সমান কৌতূহল জাগায়। ২০১৫ সালের ৬ মে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ পয়তাল্লিশ বছর  ফ্রান্সের প্যারিসে বসবাস করেন এই শিল্পী। ১৯৩৯ সালের ২৯ মার্চ সুন্দরবনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৭ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।

‘নভেরার রূপ’ : সাখাওয়াত টিপুর ব্যতিক্রমী কাজ। এরই মধ্যে বইমেলায় বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। ৩০০ টাকা মূল্যের এই বইটি পাওয়া যাচ্ছে আদর্শ প্রকাশনার ৫৪৫,৫৪৬ ও ৫৪৭ নম্বর স্টলে।