ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৫:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কেমিক্যাল গুদাম থেকেই অগ্নিকাণ্ড : তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ৫ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ বের করতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) বিশেষজ্ঞ দলের তদন্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কেমিক্যালের গুদাম থেকেই আগুন লেগেছে। ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করে পুরান ঢাকাকে নিরাপদ করতে আটটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে অগ্নিকাণ্ডের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন করে আইইবি। ছয় সদস্যের কমিটি ২৮ ফেব্রুয়ারি আইইবির সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে।

এ প্রসঙ্গে আইইবির তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার বলেন, ‘চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া গেছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আমাদের ধারণা হয়েছে, কেমিক্যাল থেকেই ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। এর বাইরে অন্য কোনো কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এমনটা আমাদের মনে হয়নি।’

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ক্যামেরায় তোলা কিছু ভিডিও চিত্রে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখে অনেকে দাবি করছেন, আগুনটা বাইরে থেকে শুরু হয়ে ভবনে ছড়িয়েছে।

কিন্তু মসজিদের পাশে সিসিটিভি ফুটেজে বিস্ফোরণের সঙ্গে এয়ার ফ্রেশনারের (বায়ূ বিশুদ্ধিকরণ) ক্যান দেখতে পাওয়া যায়। তাতে আপাত দৃষ্টিতে আগুন ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলা হতে শুরু হয়েছে বলে ধারণা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই ভবনে বিপুল পরিমাণে অতি দাহ্য পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণে বাইরের দেয়াল ভেঙে পড়ে এবং অভ্যন্তরীণ দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ে। তবে ভেতরের দিকে অক্সিজেন কম থাকায় আগুন সেদিকে বাড়তে পারেনি। এজন্য ওয়াহেদ ম্যানশন সংলগ্ন ওয়াহেদ মঞ্জিলের কোন ক্ষতি হয়নি, বরং রাস্তার দিকে আগুন ছড়িয়েছে। ওয়াহেদ ম্যানশনের একতলা সিঁড়িঘরেও তেমন ক্ষতি হয়নি।

ভিন্নধর্মী তথ্য সম্পর্কে আইইবির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত বিপরীতমুখী নানা তথ্য আসায় ঘটনাস্থলের পরিপূর্ণ ফরেনসিক তদন্ত প্রয়োজন। শুধু চাক্ষুষ পরিদর্শনে যা দৃষ্টিগোচর হয়েছে তাতে ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার দেয়ালে কোনো ভি’সাইন বা আওয়ার গ্লাস তৈরি হলেও এখন সেটা অবলোকন করা সম্ভব নয়। কেননা, দ্বিতীয় তলার দেয়াল বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে, আর ভেতরের দেয়ালের পলেস্তরা খসে পড়েছে।

প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ওয়াহেদ ম্যানশনসংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনের সময় ধারণা পাওয়া যায়, আশপাশে ডিপিডিসির বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ছিল না বলে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনেও শর্টসার্কিটের কোনো আলামত ছিল না। ট্রান্সফরমার যেখানে ছিল তা অক্ষত অবস্থায় ছিল।

বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনগুলোও অক্ষত ছিল। প্লাস্টিক দানা নেয়ার জন্য যে পিকআপ ওয়াহেদ ম্যানশনের নিচে দাঁড়িয়ে ছিল, তা ডিজেল চালিত ছিল। পরিদর্শনকালে ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীসামগ্রীর মজুদের ভস্মীভূত ও প্রায় অক্ষত অবশেষ দেখা যায়। সেগুলোর মধ্যে ছিল- বাদামের তেল, রেড়ির তেল, জলপাইয়ের তেল, এয়ার ফ্রেশনার ও সুগন্ধি।

-জেডসি