ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ১১:১০:৫৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কাপড় ব্যবসায়ী হত্যায় ১৫ জনের ফাঁসি, দুই নারীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দোহারের কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ১৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরও দুই নারী আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন।

মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ জন হলেন- সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, দিদার (পলাতক), এরশাদ (পলাতক), কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজহার কারিগর, নিয়াজ উদ্দিন, মোজাম্মেল ওরঢে সুজা, জলিল কারিগর (পলাতক), জালাল, বিল্লাল, ইব্রাহিম (পলাতক) ও আ. লতিফ।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- মজিদল ওরফে মাজেদা ও চায়না বেগম। তারা দু’জনই পলাতক রয়েছেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকেও ২০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী কাজি সাহানারা ইয়াসমিন রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মামলার ভিকটিম নজরুল ইসলাম ফেরি করে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। জায়গা জমির বিরোধে তাকে (নজরুল ইসলাম) আসামিরা হত্যা করে। আদালত বিচার শেষে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সাথে নজরুল ইসলামের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে দেওয়ানী ও ফৌজদারী একাধিক মামলাও চলছিল। এর মাঝে ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল সকালে বুড়িগঙ্গা ব্রিজের পাশে নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় আসামিরা ভিকটিম নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার স্ত্রী সূর্যভান এগিয়ে আসলে তাকেও আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় ওই দিনই (৩ এপ্রিল) দোহার থানায় নিহত নজরুলের মামা নাজিমুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ওই বছরের ২৬ জুলাই ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এছাড়া মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ১৪ জন সাক্ষী দেন।

-জেডসি