বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডে ২২ তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু এবং ২৮ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। এর মধ্যে একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত বনানী থানার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট। আগুন নেভাতে কাজ করছে সেনা বাহিনী, নৌবাহিনীর ফায়ার টিম ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। আগুন লাগার পর ওই ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন।
আগুন নেভাতে কাজ করছে, ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট। নেভাতে কাজ করছে সেনা বাহিনী, নৌবাহিনীর ফায়ার টিম ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। আগুন লাগার পর ওই ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে টাওয়ারের ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে তাৎক্ষণিকভাবে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। আগুনের উত্তাপে ভবনের কাঁচ ফেটে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী মোখলেসুর রহমান জানান, আগুন লাগর পর চারজন ৮ম ও নবম তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছে। তারা হয়তো বাঁচবে না। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে এই মুহূর্তে কাছে গিয়ে দেখা যাচ্ছে না তারা মরে গেছে না, বেঁচে আছে।
এদিকে, ২৬ তলায় আটকে থাকা ইকো লাইন শিপিং করপোরেশনের অ্যাসিট্যান্ট ম্যানেজার দীপক কুমার দাসের ভাইয়ের সঙ্গে সময় সংবাদের কথা হলে তিনি জানান, ভেতরে অনেকেই আটকে আছে। বের হতে পারছে না। আমার ভাই একমাত্র বের হয়ে ছাদে যেতে পেরেছে। ধোঁয়ার কারণে কষ্ট হচ্ছে সকলের।
পরে দুপুর ২টার দিকে ভেতর থেকে এক নারী ফেসবুক লাইভে এসে তাদেরকে বাঁচানোর আকুতি জানান। ভিডিওতে শোনা যায় তিনি বারবার বলছেন, আমাদের জন্য সিঁড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সিঁড়ি না পাঠালে ধোঁয়ায় আমরা মারা যাবো।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল যে, বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন একটি রুমে ছুটাছুটি করছেন। তবে এটি ভবনের কত তলায় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় চারিদিক থেকে উৎসুক জনতা এসে ভিড় জমিয়েছেন ঘটনাস্থলে। যে কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উদ্ধারকার্য বিঘ্নিত হচ্ছে। টাওয়ারের নীচে জমা জনতাকে সরিয়ে দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এরইমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আশপাশের সড়ক।
এ বিষয়ে বনানী থানার ডিউটি অফিসার রকিবুল জানান, আগুনের কারণে নতুন বাজার থেকে গুলশান-২ হয়ে বনানী এবং কাকলি থেকে বানানী পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। উদ্ধার অভিযানে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে কারণেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
-জেডসি
