গ্রিনলাইনকে বিকেলের মধ্যে টাকা দেয়ার নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:৪৭ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপর বাস চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারকে আজ বিকেল তিনটার মধ্যে ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিশোধ না করলে পরিবহনটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত।
রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করার জন্য আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সে নির্দেশনা এখনও মানা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার গ্রিনলাইনের মালিক মো.আলাউদ্দিনকে আদালতে এই মৌখিক আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে, গত ৩১ মার্চ তিন দিনের মধ্যে পা হারানো রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাসেল ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা আদালতকে তা অবহিত করেন। এদিন আদালতে হাজির হন রাসেল সরকারও।
শামসুল হক জানান, গ্রিন লাইন মালিকপক্ষ রাসেলের ক্ষতিপূরণের কোন টাকা দেয়নি। এমনকি এ বিষয়ে তারা কোন যোগাযোগও করেনি। সে কারণে মালিককে আদালতে হাজিরের জন্য আদেশ দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এ সময় আদালত গ্রিনলাইনের আইনজীবী অজিউল্লাহকে ডেকে তার কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ বলেন, গ্রিনলাইনের মালিক দেশের বাইরে যে কারণে তার সাথে আমি যোগাযোগ করতে পারিনি। আদালত এ সময় গ্রিনলাইনের আইনজীবীকে বলেন, মালিক কোন দেশে আছেন, কবে ফিরবেন তা নিশ্চিত করেন।
কিন্তু এই বিষয়ে আদালতে কোন তথ্য তিনি দিতে পারেননি গ্রিনলাইনের পক্ষের আইনজীবী। পরে বিষয়টি নিয়ে গ্রিনলাইনের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে আদালতে ডেকে আনতে ওই আইনজীবীকে মৌখিক নির্দেশ দেন বিচারক।রাসেলকে ক্ষতিপূরণ না দিলে গ্রিনলাইনের সব গাড়ি জব্দ করা হবে।
রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ গত ১২ মার্চ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের ক্ষতিপূরণের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইন পরিবহনের করা আবেদন খারিজ করে ৩১ মার্চ। এই আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী শামসুল হক রেজা ও অ্যাডভোকেট খবিরউদ্দিন ভূঁইয়া। আর গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী অজিউল্লাহ।
এর আগে ১২ মার্চ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং কাটাপড়া বাম পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিল আদেশে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রাসেলের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বাস কর্তৃপক্ষ তার কোনো খোঁজখবর নেয়নি।
-জেডসি
