ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:১০:৪০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অপরাধীদের শাস্তি হলেই মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৫২ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যৌন হয়রানির অভিযোগ করার কারণে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নৃশংসতা বিরল। নিষ্ঠুর সেই বিরল ঘটনায় মেয়ে নুসরাত জাহান রাফিকে  হারিয়ে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে রাফির বাবা এ কে এম মুসার। তিনি তার একমাত্র কন্যাকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান, নির্বাক! কেবলি কাঁদছেন, বাবার কাঁদছেন নুসরাতের বড় ভাই নোমান। কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। জ্ঞান ফেরার পর আবার কাঁদছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নুসরাতের বাবা যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তখন হাসপাতালের মর্গে তার মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত করছেন চিকিৎসকরা। ওই মর্গের সামনে দাঁড়িয়েই কথা বলেছিলেন তিনি। সব হারিয়ে রাষ্ট্রের কাছে এই বাবার চাওয়া এখন কেবল ন্যায়বিচার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন- এমন অভিযোগে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষের পক্ষের লোকজন নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

নুসরাতের বাবা বলেন, যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি দেয়া হলেই আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। আমার মেয়ে নিষ্পাপ। তাকে প্রথমে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে তার প্রতিকার চেয়েছিল আামার মেয়ে। থানায় গিয়েছিল মামলা দিতে, কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। পরবর্তীতে নৃশংসভাবে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলছি...। তিনি কথা শেষ হয়ে যাওয়ার আগে এটুকুই বলতে পারলেন, আমি শুধু আমার মেয়ের শান্তি চাই..

-জেডসি