ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২, মে ২০২৪ ৬:৪২:৩৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভিকারুননিসায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীকে অবৈধ ভর্তির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪০ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নানা কৌশলে অতিরিক্ত আসন তৈরি করে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবারও পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ভর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভিকারুননিসায় কোনো আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যায না। অথচ এক শাখায় শূন্য আসন দেখিয়ে অন্য শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আছে যারা ভর্তির আবেদনও করেনি। এছাড়া লটারিতে ব্যর্থ বা লিখিত পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদেরও ভর্তি করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম অবৈধ ভর্তির বিষয়টি স্বীকার করে সোমবার বলেন, আমি দায়িত্বে আসার আগে বিভিন্ন মাধ্যমে বেশকিছু শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। এখনও শিক্ষার্থী ভর্তি করতে প্রতিদিন অভিভাবকরা নানা ধরনের তদবির নিয়ে আসছেন। আমি তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। এসব ভর্তির সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে বলেন, আমি দায়িত্বে বসার পর অবৈধ ভর্তি হয়নি এবং হবেও না। এছাড়া অবৈধ ভর্তির পাশাপাশি নিয়মবহির্ভূতভাবে বেশকিছু ছাত্রীর শাখা ‘ট্রান্সফার’ করা হয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

অভিযোগকারীরা বলেন, বিধিবহির্ভূত এসব ভর্তির নেপথ্যে প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং গভর্নিং বডির কয়েকজন সদস্য মূল ভূমিকা পালন করেন। ভর্তির ক্ষেত্রে অর্থের লেনদেনেরও করেছেন কেউ কেউ। আবার অবৈধ ভর্তির বিষয়টি হালাল করতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের তদবিরের সুপারিশ রক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ‘মাস্তান’ এমনকি শিক্ষা বিভাগের কোনো কোনো ব্যক্তিও অর্থের ভাগ পেয়েছেন।

এ ধরনের ভর্তির বিষয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা বেগম বলেন, যে সকল অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে তা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা হয়েছে। এটি আমার একক সিদ্ধান্ত ছিল না।

প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, এসব ঘটনায় গত বছর তদন্ত শেষে প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়। এরপর ২০ আগস্ট মন্ত্রণালয় সতর্ক করে ভিকারুননিসাকে চিঠি দেয়।
তাতে উল্লেখ করা হয়, নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি না করার জন্য অধ্যক্ষকে সতর্ক করা হলো। এর ব্যত্যয় হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার বলেন, অবৈধ ভর্তির খবর আমাদের কাছে এসেছে। কমিটির কোন কোন সদস্য এসব ভর্তির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

-জেডসি