ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭, মে ২০২৪ ১৬:০৮:১৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সরকার নির্ধারিত কাঠামোয় বেতন দেয়া ও নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১১ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ায় সারা দেশে নৌ-ধর্মঘট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল মঙ্গলবার নৌযান শ্রমিকরা দিনভর কর্মবিরতি পালন করার পর বুধবার সকাল ৬টায় তা প্রত্যাহার করে। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আশ্বাসে এই ধর্মঘট স্থগিত করে নৌযান শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ বৈঠকের পর এই তথ্য জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান।

বৈঠকে নৌপথে পুলিশের চাঁদাবাজি ও নৌপথে ডাকাতি রোধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানানো হয়। তাছাড়া নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির অন্যান্য দাবিগুলো সমাধানের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে শ্রম মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানোর আশ্বাস দেয়া হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ১১ দফা দাবি আদায়ের জন্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে বৈঠকে বসে নৌযান শ্রমিক নেতারা। শ্রম ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার রাতের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। নৌযান শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বিভেদের ফলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। ফলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী আবারও নৌযান ফেডারেশন নেতাদের সাথে বৈঠক করে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও চৌধুরী আশিকুল আলম ও শাহ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা।

ধর্মঘট স্থগিত করার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ সব রুটে এই লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

এর আগে সোমবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনে যান নৌযান শ্রমিকরা। দেশব্যাপী এই ধর্মঘটে নদীবন্দরগুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়ে। নৌপথে পণ্য পরিবহন এবং খালাসে স্থবিরতা নেমে আসে। এতে মঙ্গলবারে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা। এই দিন ঢাকা নদীবন্দর (সদরঘাট) থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাত্র ১১টি লঞ্চ ছেড়ে যায়। স্বাভাবিক সময়ে এই বন্দর থেকে প্রতিদিন ৭৫-৮০টি লঞ্চ ছেড়ে যেত।

নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ ও নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দুর্ঘটনায় কর্মস্থলে কোনও শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সাথে সমুদ্র ভাতা ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ করা।

-জেডসি