ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ১৫:৫০:৫৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যায় পাঁচজনের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় পাঁচ বছর আগে ২০১৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক প্রতিবন্ধী (২৪) তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মামলার দুই আসামি নয়ন কুমার ও প্রশান্ত উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন। একই সাথে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী এ রায় দেন।

তিন আসামিেকে ফাঁসির আদেশ প্রদানের পাশাপাশি আদালত তাদের আরো এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের শ্যামাপদ রবিদাসের ছেলে নয়ন রবিদাস (২৮), সোনাপট্টি গ্রামের বীরেন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২২), চাকপাড়া গ্রামের রতন রবিদাসের ছেলে নিতাইচন্দ্র রবিদাস (২৬), সুচেন দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৪২) ও খোকন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস (২৪)।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৫ সালে সদর উপজেলার কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন (২০) নিখোঁজ হন। পরদিন ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের একটি ডোবা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে একই বছরের ১৫ আগস্ট সদর থানার এসআই শামীম আকতার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার তথ্য আসে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সারোয়ার রহমান একই বছর ১৪ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন আদালতে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনকে ১৩ জুন ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

পিপি আঞ্জুমান বলেন, আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য নিয়ে পাঁচ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস দিয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সদর উপজেলার বাথানপাড়া গ্রামের অনীল শিলের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ (২৩), হরিশপুরের আতাবুরের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫) ও রাজশাহীর জিয়া কলোনির আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সোহাগী বেগম (২৭)।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলা মোড় এলাকার থেকে প্রতিবন্ধী আয়শাকে (২৪) ডেকে নিয়ে একটি আমবাগানে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

-জেডসি