ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ১৭:৪৮:০৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও যথাযথ তত্ত্বাবধান ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আর এ আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসককে সার্কুলার জারি করতেও ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেয়।

যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিব ও দেশের সব জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’সহ দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বুধবার হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করেছিলেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই আদেশের পরে কার্যত প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বাংলাদেশে আর হতে পারে না, হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের খাওয়ার কথা সে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হচ্ছে পোল্ট্রিকে। যে কারণে এগুলো ইনডাইরেক্টলি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি করছে।’

‘আমি তো মনে করি খ্যাদ্যের ব্যাপারে স্টেট অব ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা উচিৎ। গত বছর বিএসএমইউতে ৯০০ জন আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে মারা গেছেন ৪০০ জন। তারপরে আর কী লাগে? এখন, সিভিল সার্জন ও ডিসি সাহেবরা কার্যকর ব্যবস্থা যদি নেন, তাহলে পরবর্তী জেনারেশনকে বাঁচানো যাবে।’

গত ২২ এপ্রিল টেলিগ্রাফের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের আইসিইউতে ১০ মৃত্যুর মধ্যে ৮টি মৃত্যুর জন্যই দায়ী সুপারবাগ। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ৮০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ দায়ী।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। কারণ এসব দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পরামর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না। আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া এবং দোকান থেকে অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে রোগী ব্যবহার করে। আবার মানুষের ব্যবহৃত ওষুধ বেশি লাভের জন্য পশুর ওজন বাড়াতেও প্রয়োগ করা হয়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক সায়েদুর রহমান টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে দেশে কড়াকড়ি প্রয়োজন। অ্যান্টিবায়োটিক দোকানে অবাধে কেনাবেচা করার সুযোগ থাকাও উচিৎ নয়।’

-জেডসি