লাবণ্য হত্যায় অভিযুক্ত দুই চালক রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:৪৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার
ছবি: সংগৃহীত
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহতের মামলায় উবারের মোটরবাইক চালক মো. সুমন হোসেন দুই দিনের এবং কাভার্ডভ্যান চালক আনিছুর রহমানকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। তাদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেই সড়কে প্রাণ দিতে হয় লাবণ্যকে।
রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানাধীন হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সামনে দুর্ঘটনার ওই মামলায় রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, লাবণ্যের অকাল মৃত্যুতে তার সহপাঠীসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, তার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনসহ সমগ্র বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ বিস্মিত ও শোকাহত এবং তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। আনিছুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এক এক সময় এক এক রকম বিভ্রান্তমূলক তথ্য দেন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। আর সুমন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অসৎ কোনো উদ্দেশ্যে নিয়ে মামলার ঘটনাটি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন কি না এবং কী উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় ফেলে এবং মিথ্যা ঠিকানা প্রদান করেছে এই সম্পর্কে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহসহ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।
আসামি সুমনের পক্ষে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন ছিল। তবে আনিছুর রহমানের পক্ষে কোনো আইনজীবীই ছিলেন না।
গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পাশের সড়কে দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহত হন। লাবণ্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং ব্যবহার করে শ্যামলী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। আহত অবস্থায় লাবণ্যকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
-জেডসি