প্রশ্নফাঁস: ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ৩০ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র তৈরি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার সকালে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
২০১৭ সালের ১৯ শে অক্টোবর মধ্যরাতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনাটি ঘটে। সে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে অভিযান চালায় সিআইডি। গ্রেপ্তার হয় মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থী। পরদিন শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। তদন্তে উঠে আসে, চক্রটি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রিন্টিং প্রেস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করতো।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেড় বছরের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত প্রশ্নফাঁস মামলার চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। সিআইডি নিরলস পরিশ্রম, কর্মদক্ষতা এবং সুকৌশল পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের সর্ববৃহৎ প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াত চক্রকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। এ মামলায় ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আরও ৭৯ জনের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় মূলহোতাসহ মোট ৪৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।’
দুইভাবে প্রশ্ন জালিয়াতি হতো জানিয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আমরা তদন্তে দুইভাবে জালিয়াতির তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে একটি চক্র প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। অন্যটি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে দ্রুত তা সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করে। প্রেস থেকে প্রশ্নফাঁসকারী পুরো চক্র চিহ্নিত হলেও ডিজিটাল ডিভাইস চক্রটিকে চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ডিজিটাল জালিয়াত চক্রটিকেও চিহ্নিত করা গেছে। ধরা পড়েছে চক্রের মাস্টারমাইন্ড বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, মূলহোতা ইব্রাহীম, মোস্তফা কামাল, হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং তাজুল ইসলাম।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চক্রের মূলহোতাদের অঢেল অবৈধ অর্থ-সম্পদের খবর পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাৎক্ষণিক তদন্তে প্রায় ২০ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে ইতিমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মানিলন্ডারিং মামলাও করেছে সিআইডি।’
-জেডসি
