ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ১০:১৭:২১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বাদামের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ২১ জুন ২০১৯ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এখন আর উত্থাল-পাতাল ঢেউ উঠে না মধুমতি নদীতে। মধুমতি নদীটি এখন ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। বিস্তৃত মধুমতি নদীর বুকে চাষাবাদ হচ্ছে চিনা বাদামের।

মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মার শাখা নদী মধুমতি। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে মধুমতির বুকে জাগে বিশাল চর। সেই চরে স্থানীয় চাষিদের বাদাম উৎপাদনের আশা ভরসা দিনদিন বেড়েই চলেছে।

মধুমতি নদীটি দু’পাড়ের মানুষের কাছে এখন আর আতঙ্ক নয়; বরং আর্শীবাদ। কৃষকরা এখন নদীর বুকে বাদামসহ বেশকিছু ফসলের আবাদ শুরু করেছেন। তার মধ্যে চিনা বাদাম ও তিল উল্লেখযোগ্য।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবুখালী ইউনিয়নের রায়পুর, চরসেলামতপুর, হরিনাডাঙ্গা পার্শ্ববর্তী পাল্লা, চরপাল্লা ঝামা, রায়পাশা, চরঝামা, জাঙ্গালিয়াসহ অন্যান্য চরে এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বাদামের পরিমাণ বেশি হওয়ায় নদী পাড়ের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন চরঞ্চলে ৫০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ৪০ হেক্টর জমিতে ৮৫ টন। এ বছর কম জমিতে বাদাম চাষ হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাবুখালীর রায়পুর গ্রামের বাদাম চাষি সুশীল কুমার বিশ্বাস জানান, বাদাম লাগাতে খরচ কম হলেও ঘরে তুলতে খরচ বেশি পড়ে যায়। বাদাম লাগানোর ৯০ দিনের মধ্যে এই ফসল তোলা শুরু হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি বিঘায় ১২ থেকে ১৬ মণ বাদাম উৎপাদন করা যায়। বাদাম চাষে লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় দিনদিন কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে ৫০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে এ পরিবারগুলো সুফল পাবে। আবহওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ টন। কম খরচে লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আত্মনির্ভরশীল উঠেছে উপজেলার চরঞ্চলের কৃষকরা।

-জেডসি