ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ৩:৫৩:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রাজধানীর কাঁচা বাজার অস্থিতিশীল, দাম চড়া

আসমা আলমগীর

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯ শুক্রবার

রাজধানীর বাজারে শাক-সবজির দম বাড়তির দিকে। চালান অনেক বেশি হলেও দামে কিন্তু কমতি নেই। বরং ইচ্ছেমত দাম হাকা হচ্ছে। একই শাক বা সবজি ভিন্ন ভিন্ন দোকানে ভিন্ন দাম। আজ শুক্রবার মালিবাগ, মগবাজার, খিলগাঁও, পরীবাগসহ ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। 

ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন, চালান বেশি থাকার পরও কেন এত দাম। কোনো নজরদারি করা না হলে এই অবস্থা মারাত্নক আকার ধারণ করবে। তাদের বক্তব্য দাম নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

আজ প্রতিকেজি টমেটো ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শসা।  প্রতিকেজি কচুর লতি ৪০ থেজে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা,  কাকরোল ৪০ টাকা, ডাটা ৩০ টাকা মুঠা।

প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়ার ফুল প্রতি তিন পিস ২০ টাকা। প্রতি আটি কলমি শাক, লাল শাক আটি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা। লাউ শাক ৩০ টাকায়, পালং শাক ২৫ টাকায়, পুঁই শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

এদিকে প্রতিকেজি সিরাজ মিনিকেট ও মিনিকেট চাল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকায়, মসুর ডাল মোটা ৭০ টাকায়, মুগ ডাল ১২০ টাকায়, ভোজ্যতেল প্রতিলিটার খোলা ৯০ টাকায় ও বোতলজাত ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি আদা ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়, রসুন ভারতীয় প্রতিপাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৮০ টাকায় ও দেশি রসুন ২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩০ টাকা, আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

আবার তুলনামূলকভাবে সুবিধা হয়েছে মাছ-মাংসের বাজারে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। 

বাজারে মাছের আকারভেদে প্রতিকেজি ট্যাংরা মাছ ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২৭০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

অন্যদিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, গরুর মাংস  ৫৫০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, যা আগে ছিলো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। একইসঙ্গে কমেছে দেশি, কক ও লেয়ার মুরগির দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে। পাশাপাশি প্রতিপিসে কমেছে দেশি ও ককের দাম। দেশি প্রতিপিস মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ খেকে ৪০০ টাকায়, যা আগে ছিলো ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। কক প্রতিপিস ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। 

এদিকে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৬ টাকা। হাঁসের ডিম প্রতিডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা ডজন।

বাজারে প্রতিকেজি নাজির ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা।