ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭, মে ২০২৪ ১৭:১৮:১৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ডিআইজি মিজানের ক্রোককৃত সম্পত্তিতে মালিকানা দাবি এক নারীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫৩ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার

বর্তমানে কারাগারে থাকা পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে একটি এক নারী নিজের বলে দাবি করে আদালতে আবেদন করেছেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজীর দর্গা ধলপুরের মো. জুনায়েদ ইসলামের স্ত্রী শেফালী বেগম গতকাল বুধবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ আবেদন করেন।

বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আগামী ২৫ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন।

দাবি করা ওই সম্পত্তিটি হলো- ঢাকার রমনা থানাধীন কাকরাইল মৌজার সিএস-৩৫, এসএ-২৮৫, আরএস-৭১ ও সিটি-১১৮ খতিয়ানের সিএস-৯৭, এসএ-১৪৬, আরএস-১১৪৭ ও সিটি-৫৯৮৮ নং দাগের ১৪৮৫ অযুতাংশ জমির মধ্যে ০০৪০ অযুতাংশ জমি এবং ১১ তলা ইমারতের দ্বিতীয় তলার উত্তর দিকের এক হাজার ৪৭৬ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বেজমেন্টের আট নম্বর কারপার্কিং স্পেস।

আইনজীবী এমএম রাশেদ সারোয়ার পাঠানের মাধ্যমে আবেদনে ওই নারী উল্লেখ করেন, উল্লেখিত সম্পত্তি নির্মান বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলোপারস লিমিটেডের কাছ থেকে ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি রেজিস্ট্রি দলিলমুলে ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান ক্রয় করেন। যা আবেদনকারী ক্রয়ের জন্য গত বছর ২৯ ডিসেম্বর মাহমুদুল হাসান সাঙ্গে বায়না দলিল করে চলতি বছর ২৫ এপ্রিল রেজিস্ট্রি সাবকবলা দলিলমূলে কেনেন। আবেদনকারী বর্তমানেও ওই সম্পত্তি শাস্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করছেন এবং মামলার আসামি ডিআইজি মিজানের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্টতা নেই বলে উল্লেখ করেন। তাই ক্রোককৃত সম্পত্তিটি অবমুক্ত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন।  

এর আগে গত ২০ জুন জিআইজি মিজানের নামে বেনামে থাকা উল্লেখিত সম্পত্তিসহ সাত প্রকারের সম্পত্তি ক্রোক এবং সিটি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার একটি ব্যাংক হিসাব দুদক ফ্রেজের আবেদন করলে একই আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এরপর গত ২৪ জুন ওই আসামির বিরুদ্ধে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মর্শেদ একটি মামলা করেন। মামলায় মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্মা, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকেও আসামি করা হয়। ওই মামলায় মামলায় গত সোমবার তিনি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ডিআইজি মিজানের ক্রোককৃত এবং ফ্রিজের আদেশ হওয়া অপর সম্পত্তির মধ্যে ৫৫ লাখ টাকার বেইলি রিটজ নামীয় ভবনের চতুর্থ তলার এপার্টমেন্টের কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং রাজধানীর সিদ্বেরশ্বরী এলাকায় ৫৫ দশমিক ৫১ অযুতাংশ জমিসহ এপার্টমেন্ট, উত্তরায় ১৭৫০ বর্গফুটের জমিসহ ফ্ল্যাট, গুলশানের  ‍পুলিশ প্লাজায় একটি দোকান, উত্তরার পলয়েল কারনেশনে একটি দোকান, পূর্বাচল নতুন শহরে পাঁচ কাঠা জমি, সাভারে পুলিশ হাউজিং সোসাইটিতে পাঁচ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ফ্ল্যাট, জোয়ার সাহারায় পুলিশ বহুমুখি সমবায় সমিতিতে সাড়ে সাত কাঠা জমি এবং সিটি ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার একটি হিসাবে থাকা ১০ লাখ টাকা।