শেরে বাংলা নগরে জমে উঠেছে বৃক্ষমেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ছবি : উইমেননিউজ২৪.কম
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে আয়োজিত মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা জমে উঠেছে। প্রতি দিনই বৃক্ষপ্রেমিরা ভিড় করছেন মেলায়। কিনে নিচ্ছেন প্রিয় বা প্রয়োজনীয় গাছের চারাটি।
বৃক্ষমেলার প্রতিটি স্টল রং-বেরঙের দুর্লভ প্রজাতির ফুল এবং ফলদ গাছের চারায় সাজানো হয়েছে। পুরো এলাকা সবুজ বেষ্টনীতে রূপ নিয়েছে। ইট-পাথরের এ রাজধানীতে লোকজন বাড়ির আঙিনা, ছাদ, ঘরের ভেতর, ব্যালকনি কিংবা খালি জায়গায় ফুল-ফলদ গাছের চারা লাগাতে ছুটে আসছেন মেলায়। দেশী-বিদেশী নানা ধরনের চারা দেদার বিক্রি হচ্ছে। মেলায় ৮৮টি স্টল ফুল ও ফলদ গাছের পসরা সাজিয়েছে।
পরিচিত, অপরিচিত নানা জাতের ফলদ, বনজ ও ওষুধি গাছে সেজেছে এবারের বৃক্ষমেলা। মেলা থেকে শখের ও দরকারি গাছটি কিনতে পেরে খুশি বৃক্ষপ্রেমীরা। বাড়ির বারান্দার শোভা বাড়াতে ফুল ও পাতাবাহারের পাশাপাশি সুস্বাদু ফল ও ভেষজ গাছ বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে দাম অনেকটাই বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
মালিবাগ থেকে মেলায় আসা দিলশাদ শামীম উইমেননিউজকে বলেন, বেশ কিছু ফুলের চারা কেনার পরিকল্পনা নিয়ে মেলায় এসেছিলাম। সরকার এ মেলার আয়োজন করেছে বলে ভেবেছিলাম দাম সহনীয় পর্যায় হবে। কিন্তু না, প্রতিটি স্টলেই গাছের দাম অনেক বেশি।
বৃক্ষমেলা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নার্সারিগুলো বনজ, ভেষজ, ফলদ ও শোভাবর্ধক- এ চার শ্রেণীতে সাজানো হয়েছে। রয়েছে ৪০০’র বেশি প্রজাতির গাছ। তাছাড়া একেকটি প্রজাতির মধ্যে ৩ থেকে ২৫ প্রকারের জাত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গাছের পাশাপাশি চারা উৎপাদন ও পরিচর্যার উপকরণ, সার ও কীটনাশকেরও স্টল রয়েছে। কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে আম, আমলকী, লটকন, জামরুল, পেয়ারা, লেবু, জাম্বুরাসহ দেশীয় সব ধরনের গাছ ফলসহ কিংবা ফলবিহীন বিক্রি হচ্ছে। ফলদ গাছের পাশাপাশি ক্রেতাদের আর্কষণ ছিল বনসাই গাছের দিকে।
কেউ ফুল বা কারো বা পছন্দ ফলের গাছ। শখের বাগানে গাছের সংগ্রহেও চাই বৈচিত্র্য। তাই দরকারী ও পছন্দের গাছের খোঁজে বৃক্ষপ্রেমীদের ভিড় বেড়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় আয়োজিত মাসব্যাপী বৃক্ষ মেলায়।
পছন্দের তালিকায় যেমন আছে গোলাপ, জবা, কামিনী ও কৃঞ্চচূড়ার মতো পরিচিত দেশীয় ফুল, তেমনি অর্কিডসহ নানা জাতের বাহারি ফুল ও বনজ গাছ মুগ্ধ করেছে দর্শনার্থীদের। তবে দাম বেশি রাখার অভিযোগ ক্রেতাদের।
রোগ নিরাময়ে উপকারী বিভিন্ন ভেষজ ও বনজ গাছ নিয়ে এসেছে কৃষি উন্নয়ন কপোরেশন। ওষুধ হিসাবে কাজে লাগাতে ও রুপচর্চার জন্য এসব গাছ কিনেছেন অনেকে।
এছাড়া বাড়ির ছাদে ও টবে চাষযোগ্য নানা জাতের ফলদ ও বনজ গাছ বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান, নার্সারির কর্মীরা। মেলায় ভালো গাছ পাওয়া যাওয়ায় দূর দূরান্ত থেকেও এসেছেন অনেকে।
২০ জুলাই শেষ হবে বৃক্ষমেলা। এ পর্যন্ত মেলায় প্রায় ৬ কোটি টাকার ১৫ লাখ চারা ও গাছ বিক্রি হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
