ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ১৯:২০:৪৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নুসরাতের শ্লীলতাহানি মামলা ট্রাইব্যুনালে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৪২ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই এ মামলার বিচারকাজ শুরু করবেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইন মামলার সব নথিপত্র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম।

এর আগে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ঘটনার দুই মাস পাঁচ দিনের মাথায় মামলাটির চার্জশিট দেয়া হলো।

বৃহস্পতিবার চার্জশিটের ওপর আদালতে শুনানি হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘অধ্যক্ষ সিরাজ নুসরাতকে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছে। হত্যা মামলায় তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই সময় জবানবন্দিতে ২৭ মার্চ যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। যার কারণে এ মামলায় নতুন করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার প্রয়োজন হয়নি।’

আদালতসূত্র জানায়, গত ২৭ মার্চ সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় নুসরাতের মা সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।

গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে ডেকে মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

১০ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।

নুসরাতের মায়ের করা শ্লীলতাহানির মামলা ও নুসরাতের ভাইয়ের করা হত্যা মামলা দুটি তদন্ত করে পিবিআই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

-জেডসি