ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৩:০৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

এরিকের জন্য জীবন দিতে হলে তাই করব: বিদিশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর দিনে তার সাবেক স্ত্রী বিদিশা ছিলেন ভারতের আজমির শরিফ। সেখান থেকে ফেসবুকে এক আবেঘন স্ট্যাটাস দেন তিনি। সেখানে লিখেন এই জনমে দেখা না হলেও পরজন্মে দুজনের দেখা হবে, যেখানে থাকবে না কোনো রাজনীতি।

এই স্ট্যাটাস দিয়ে ফের আলোচনায় আসা বিদিশা দেশে ফিরেছেন। এক সময়কার জীবন সঙ্গীকে শেষ দেখা দেখতে ভারত থেকে ছুটে এসেছেন তিনি। তবে এখনও এরশাদের মরদেহ দেখার সুযোগ হয়নি বিদিশার। এমনকি ছেলে এরিকের সঙ্গে দেখার সুযোগও হয়নি তার। এ কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিদিশা।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদিশার দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘বাবার মৃত্যুতে আমার ছেলে এরিকের কান্নায় দেশবাসীও কেঁদেছে। আমি পাগলের মতো ছুটে চলে এসেছি দেশে। কিন্তু দেশে এসেও বাধার শিকার আমি। কোথায় স্বামীর লাশ কোথায় ছেলে? আমার সাথে এরিককে কথাও বলতে দিচ্ছে না। দেখা করা তো দূরের কথা। এমনিতেই আমার ছেলে প্রতিবন্ধী। এই সময় যেখানে মাকে বেশি প্রয়োজন, তখন আমার ছেলেকে নিয়েও রাজনীতি। শেষ পর্যন্ত মা হিসেবে ছেলের জন্য যদি জীবন দিতে হয় আমি তাই করব।’

এর আগে রোববার স্বামীর মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দেন বিদিশা। সাবেক স্বামীর মৃত্যুতে আক্ষেপ জানিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে বার্তা দিয়েছেন বিদিশা। সেখানে প্রোফাইল ছবিতে এতদিন থাকা এরশাদ ও তাদের ছেলে এরিকের ছবি সরিয়ে বসিয়েছেন কালো ব্যাজ।

বিদিশা ফেসবুকে লিখেন- ‘এ জন্মে আর দেখা হলো না। আমিও আজমির শরিফ আসলাম, আর তুমিও চলে গেলে। এত কষ্ট পাওয়ার থেকে মনে হয় এই ভালো ছিল। আবার দেখা হবে হয়তো অন্য এক দুনিয়াতে, যেখানে থাকবে না কোনো রাজনীতি।’

এর আগে এরশাদ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন বিদিশা।

প্রসঙ্গত রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এরশাদ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

গত ২৬ জুন সকালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসুস্থবোধ করলে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বার্ধক্যজনিত রোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন এরশাদ।