ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ১৩:৪৪:৩৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪০ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল হলেও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা বিপদসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে রৌমারীর বন্দবের এলাকায় এলজিইডি’র সড়ক ভেঙে যাওয়ায় পুরো উপজেলা এখন পানিবন্দি।

গেল বুধবার রাতে চিলমারী উপজেলার কাঁচকল এলাকায় বাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে আটকে পরা মানুষগুলো জ্বালানী সংকটের কারণে রান্না করতে পারছে না। রয়েছে গবাদিপশুর খাবার সংকট।

অপরদিকে ভয়াবহ বন্যার প্রভাব পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রে। দাম বেড়েছে সব ধরণের সবজির। জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির সমারোহের অপ্রতুলতা। দ্বিগুণ দাম বেড়েছে সবকিছুতে।

দেশি কাচা মরিচ বন্যার আগে ৬০ টাকা কেজি থাকলেও চলতি বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা কেজি।

পটল ২০ টাকা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। মুখী কচু ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, ২০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচকলা ১০ টাকা হালি থাকলেও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ২০ টাকার আলুর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৬০ কেজি।

এছাড়াও শুকনো মরিচ, আদা, হলুদ, রসুনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসের দাম বেড়েছে।

বন্যাদুর্গতদের মাঝে কাঁঠাল মুড়ি, চিড়া, পাউরুটির চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৯৮টি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পরেছে। এতে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪শ’ পরিবারের ৬ লাখ ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় লাখ ঘরবাড়ি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাঁচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তার ক্ষতি হয়েছে।

বন্যায় ৪১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক এবং ২টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫ মেট্রিকটন জিআর চাল, ৯ লাখ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৬ হাজার ৫২৫টি পরিবারে ১৫ কেজি করে ৬ হাজার ৪২৮ মেট্রিকটন ভিজিএফ’র বরাদ্দ উপজেলাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসন মো. হাফিজুর রহমান জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ রয়েছে। বন্যার্ত কোনও পরিবার ত্রাণ সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হবে না। আমরা সকলের সহযোগিতায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবো।

-জেডসি