ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫৭:১১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপ আজ শুরু জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা

মৌয়ের ১১ বিয়ে, স্বামীদের থেকে হাতিয়েছেন অঢেল সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২১ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার কথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ ১১টি বিয়ে করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে  গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আর সেসব স্বামীদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন অঢেল সম্পদ।

ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মৌ ১১টি বিয়ে করেছেন। তার সর্বশেষ স্বামী একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। ধনাঢ্যদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করা ছিল মৌ-এর পেশা। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার পর আরেকজনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতেন। সাবেক স্বামীরা মৌ-এর অপকর্ম সম্পর্কে সবই জানতেন। তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক সময় নিজেরাই তাকে তালাক দিতেন।

রোববার (০১) আগস্ট রাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৌ-কে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহাম্মদপুরে পাঁচতলা আলিশান বাড়ি রয়েছে তার। নেক্সাস, পাজেরো ও টয়োটা ব্র্যান্ডের তিনটি দামি গাড়ি চালাতেন মৌ। অথচ তার দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই। মৌ মডেলিং পেশার আড়ালে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইলিং করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। মাদক ও অনৈতিক ব্যবসায় তার সংশ্লিষ্টতার কিছু প্রমাণ ইতিমধ্যে গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর অনেক ভুক্তভোগীই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

ডিবি পুলিশের কাছে তথ্য আছে, মৌ-এর নিয়ন্ত্রণে অর্ধশত লাস্যময়ী তরুণী রয়েছেন। এসব তরুণীকে দিয়ে তিনি অর্থশালীদের টার্গেট করতেন। কৌশলে তাদের বাসায় নিয়ে আসতেন। মদ খাইয়ে অচেতন করে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি কিংবা ভিডিও ধারণ করতেন। পরে ওই ব্যক্তি যদি কথামতো কাজ না করতেন, তাহলে ভয় দেখানোর পাশাপাশি ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এভাবে অনেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

দরিদ্র পরিবারের সুন্দরী তরুণী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীরা মৌ-এর প্রতারণা চক্রের সদস্য। তারা দিনের বেলা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে রাতে সক্রিয় হতেন। তার বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবনের পাশাপাশি চলত অসামাজিক কার্যকলাপ।

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের এক কর্মকর্তা জানান, তিন দিনের রিমান্ডের প্রথম দিন গতকাল মৌকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার এত সম্পদের উৎস কোথা থেকে, কী কারণে তার আগের সব সংসার ভেঙে গেছে এবং সব বিয়েতেই মোটা অঙ্কের কাবিন ছিল কেন। বিয়ের ফাঁদ পেতে প্রতারণা করতেন কি না- এমন নানা বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কত দিন ধরে এবং এ পর্যন্ত কতজনকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন এমন সব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি মৌ।

-জেডসি