ভাল্লুকের মাঝে সন্তানকে রেখে আসলেন বাবা-মা!
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:২৩ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০১৯ রবিবার
ছবি: সংগৃহীত
সন্তানরা দুষ্টুমি করলে বাবা-মা শাসন করবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু তাই বলে অবাধ্যতার শাস্তি হিসেবে নিজের সন্তানকে জঙ্গলে ভাল্লুকের সামনে রেখে আসাটা কতোটা বিশ্বাসযোগ্য?
এমন ঘটনাই ঘটেছে উত্তর জাপানে। রাস্তায় অন্য একটি গাড়িতে পাথর মারার কারণে এক দম্পতি তাদের ৭ বছরের শিশু ইমাতো তানোকোকে ভাল্লুকের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত নানায়ে হক্কায়িডো অঞ্চলের গহীন জঙ্গলে রেখে আসে। কিছু সময় পরে ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে দেখেন সে নিরুদ্দেশ। অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় এই দম্পতি।সন্তানকে ফেলে আসার বিষয়টি গোপন করে পুলিশের কাছে সন্তান হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন।
শিশু ইমাতোর পরিবার শুরুতে পুলিশকে জানায়, পাহাড়ে বন্য সবজি আনতে গিয়ে সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছেন। পরবর্তীতে জেরার মুখে সত্যিটা স্বীকার করে নেয় বাবা-মা। জানান, বাড়ি ফেরার পথে অন্য গাড়িতে পাথর নিক্ষেপের শাস্তি দিতেই তাকে পাহাড়ে রেখে আসনে। এমনকি ছেলেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে রেখে এসে তারা গাড়িতে উঠেন। কিছু সময় পরই তারা সন্তানকে খুঁজতে যান। কিন্তু সেখানে তাকে রেখে আসা হয়েছিলো সেই এলাকায় অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাবা-মার এই স্বীকারোক্তির পর ছেলেটিকে নতুন করে খোঁজা শুরু করেছে প্রশাসন। প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মী উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। প্রথমদিকে, ভাবা হচ্ছিলো শিশুটি ভাল্লুকের আক্রমনের শিকার হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ পর পুলিশ ৭ বছরের ইমোতো তানোকোকে উদ্ধার করে।
তাকে যেখানে রেখে আসা হয়েছিলো সেখান থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী তাবু থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে উদ্ধারের খবরে পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ৪৪ বছর বয়সী বাবা তাকাউইকি তানোকা। নিজের দোষে হারিয়ে ফেলা সন্তানকে ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে ক্ষমা চান ছেলের কাছে। ছেলেও বাবাকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা জানান। উদ্ধারের পরই হেলিকপ্টারে করে শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। গহীন অরণ্যে ৬ রাতের এই দু:সাহসিক সময় পার করা ইয়োমোতোর শরীরের ওজন দুই কেজি কমে গেছে। তবে, সন্তানের প্রতি অবহেলার অভিযোগে তার মা-বাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
-জেডসি