ঢাকা, রবিবার ২৮, এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪৬:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মিশার কাছে হারের পর যা বললেন মৌসুমী

বিনোদন প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৩৩ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

চিত্রনায়িকা মৌসুমী।  ছবি : সংগৃহীত

চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াই করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ভোটের এই ব্যবধানকে একটা ‘ম্যাকানিজম’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে নির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে নতুন কমিটিকে শুভ কামনা জানিয়েছেন প্রিয়দর্শিনী এই নায়িকা।

নির্বাচনে ১০২ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন মৌসুমী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘোষিত ফলাফলে ২২৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫ ভোট।

আজ শনিবার এফডিসির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগরের সঙ্গে তার ভোটের ‘আকাশ-পাতাল’ ব্যবধান সম্পর্কে জানতে চাইলে মৌসুমী বলেন, ‘এটা তো একটা ম্যাকানিজম। এই ম্যাকানিজম কিছুটা রোধ করা যেত আমাদের কাঞ্চন ভাই (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) যদি এটা বলতেন যে, একেবারেই কেউ মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবে না। তাহলে কিন্তু আমরা এই ম্যাকানিজম প্রতিরোধ করতে পারতাম। মানে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা তো দিতে হবে। ভোটারের তো এই স্বাধীনতা ছিল না। এই কারণে আকাশ-পাতাল পার্থক্য চলে আসছে।’

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আপিল করবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন, ‘না, আমি ফলাফলের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করব না। কারণ, এটা আমি মনে করি ফলাফল যেটা হয়েছে সেটা সবার জন্যই, সবাই যেটা দেখছে আমিও সেটাই দেখছি। সবাই মেনে নিলে আমি মেনে নিব, এখানে আপিল করার কিছুই নেই।’

এফডিসির গেটে নিরাপত্তার কড়াকড়ি এবং বিশেষ করে মৌসুমীর সমর্থকদের অনেককে হেয় করা হয়েছে-এই প্রসঙ্গে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা আমরা কমপ্লেন পেয়েছি, এটা বলেছি। আমাদের শ্রদ্ধেয় পারভেজ সাহেব বলেছেন, যে কড়াকড়ি শিল্পীদের ক্ষেত্রে করা হয়েছে, এটার তো কোনো মানেই হয় না। যারা শিল্পী, যারা ভোটার তাদের এ কড়াকড়ি করতে হবে কেন?’

মৌসুমী বলেন, ‘উনি (সোহেল রানা) কিন্তু এটার রিঅ্যাক্ট করেছেন। বলেছেন “আমি শিল্পী, আমাকে কেউ চেনে না? তাহলে আমাকে কেন বাধা দেওয়া হলো, ঝামেলা কেন করা হলো?” কিছু কড়াকড়ির কারণে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এই বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়েছে, আমি দেখেছি, শুনেছি। যেহেতু আমি ভেতরের দিকে যাইনি, এজন্য অতটা কনফার্ম করে বলতে পারছি না। পারভেজ ভাই যদি বক্তব্য না দিতেন, তাহলে আমি এটুকুও জানতে পারতাম না।’

যখন শুনলেন আপনাকে সমর্থন করা ভোটাররা আসতে পারছেন না। তখন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে মৌসুমী বলেন, ‘তখন কিন্তু টাইম ছিল না। নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত ছিল। আমরা তখন ট্রাই করেছি গেটের কাছে লোক পাঠিয়ে, গিয়ে কীভাবে এটাকে সমাধান করা যায়। কোনোভাবেই তাদের শনাক্ত করতে পারিনি।’

এই চিত্রনায়িকা আরও বলেন, ‘সেখানে তাদেরকে (ভোটার) কি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, নাকি কোনোভাবে, আসলে কী করা হয়েছে আমরা পরে রেজাল্টটা জানতে পারিনি। শুধু একটা জিনিস জানতে পারলাম পারভেজ ভাই খুব কঠোরভাবে প্রতিবাদ করলেন। ওনার সাথে যেটা করা হয়েছে আমি হলেও একই কথা বলতাম। আমি তো উনার সাথে একমত। যে এটা কেন? উনার প্রতিবাদটা সঠিক ছিল।

‘উনি উনার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করতে পেরেছেন। কারণ, তিনি পারভেজ সাহেব। কিন্তু যে পরিচিত মুখ না তিনি এ চ্যানেলটাও পাননি, এই প্রতিবাদটাও করতে পারেননি। সমস্যা হয়ে গেছে ওখানটাতেই।’  

ভোটের ফলাফল মেনে নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মৌসুমী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মেনে নিয়েছে এবং তাদের সবাইকে আমার শুভ কামনা, তারা ভালো কাজ করুক। ভালো কাজের সঙ্গে আমি সব সময় থাকতে চাই, থাকব।’