ঢাকা, সোমবার ০৬, মে ২০২৪ ১৪:১০:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অ্যালো ভেরা: ঝরবে মেদ, ভাল থাকবে চুল-ত্বক

লাইফস্টাইল ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

চুলের যত্ন হোক বা ত্বকের দেখভাল, অ্যালো ভেরার ছোঁয়ায় সেই যত্নে যোগ হয় এক আলাদা মাত্রা। অ্যালো ভেরা পাতার ভেতর যে পুরু শাঁস থাকে, তার মূল উপাদান জল। আর এই শাঁসে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরকে নানা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।

এ ছাড়া অ্যালো ভেরায় থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো নানা উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন দিক থেকে উপকার  করে থাকে। বাড়িতেও খুব সহজে এই গাছ লাগানো যায়। যত্নের ঝক্কিও নেই। তাই সহজলভ্য এই উপাদানে রূপসজ্জা থেকে স্বাস্থ্য সব দিকই বজায় থাকতে পারে।

তবে অ্যালো ভেরা খুব উপকারী হলেও অনেকের ত্বকে তা সহ্য হয় না। তাই অ্যালার্জির সমস্যা আছে কি না ব্যবহারের আগে তা এক বার যাচাই করে নিন। কী কী উপায়ে অ্যালো ভেরা ব্যবহার করলে তা শরীরের নানা উপকারে লাগে, রইল তার বিস্তারিত।

ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে: অ্যালো ভেরার মূল উপাদান হল পানি। এই কারণে এটির ব্যবহারে বজায় থাকে ত্বকের আর্দ্রতা। ফলে বলিরেখা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায় ত্বক। সতেজ অ্যালো ভেরা হলে সরাসরি তার শাঁস বের করে ত্বকে লাগাতে পারেন। বাজারেও প্যাকেটজাত অ্যালো ভেরা জেল পাওয়া যায়। অ্যালো ভেরার শাঁস অথবা জেলের সঙ্গে দুধ, মধু, কাঁচা হলুদ বাটা ও দুধের সর মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে নিন। এ বার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। তার পর তা ধুয়ে ফেলুন। অ্যালো ভেরা, শসার রস ও দইয়ের তৈরি প্যাক ত্বকের ট্যান এবং ব্রণ তাড়াতেও ভাল কাজ করে।

চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে: চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে পারে অ্যালো ভেরা। এর রসে আছে প্রোটিওল্যাক্টিক এনজাইম, যা মাথার তালুর কোষগুলির স্বাস্থ্যরক্ষায় সক্ষম। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমবে, বাড়বে চুলের দৈর্ঘ্য। দূর হবে মাথার খুশকি এবং সংক্রমণ। এটিকে কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করলে চুল থাকবে কোমল।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: অ্যালো ভেরার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড ও উপকারী কিছু উৎসেচক। নিয়মিত অ্যালো ভেরার রস পান করলে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে এই রস। তবে এর স্বাদ তেতো। তাই ব্লেন্ডারে এর শাঁস নিয়ে তার সঙ্গে পানি, বরফ, মধু ও লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে প্রতি দিন সকালে তা পান করুন।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়: এই পানীয় নিয়মিত পান করলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। তবে ইতিমধ্যেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে এটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়: অ্যালো ভেরার পাতার নিচে ল্যাটেক্সটি নামে হলুদ রঙের আঠালো পদার্থ পাওয়া যায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর।