এক টুকরো কর্পূর, তার এত ক্ষমতা!
লাইফস্টাইল ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার
এক টুকরো কর্পূর, তার এত ক্ষমতা!
বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘সিনামোনান ক্যাম্ফরা’। চলতি কথায় তাকেই আমরা কর্পূর বলে চিনি। ঘরোয়া বেশ কিছু কাজে কর্পূরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ ভারতসহ প্রায় গোটা এশিয়াজুড়েই কর্পূর গাছ জন্মায়। তবে কর্পূর ভারত উপমহাদেশের আদিবৃক্ষ নয়। প্রায় দুইশ' বছর আগে এসেছে ভারত উপমহাদেশে। আদি আবাস চীন, জাপান ও মালয়েশিয়া।
কর্পূর গাছের ছাল থেকেই ব্যবহারিক কর্পূর পাওয়া যায়। উদ্বায়ী স্বভাব ও সুগন্ধ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। আগেকার দিনে উদ্বায়ী কর্পূরকে জলে ডুবিয়ে রেখে তাকে শীতল করার রীতি ছিল।
তবে শুধু ঘরোয়া কাজেই নয়, কর্পূর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতেও বিশেষ উপযোগী। জানেন সে সব কী কী?
র্যাশ কমাতে : ত্বকে র্যাশ বা চুলকানি হলে কর্পূরের তেলকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে মালিশ করলে ত্বকের সমস্যা দ্রুত কমে।
ত্বকের অসুখ : এগজিমা, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অসুখের চিকিৎসায় কর্পূর অপরিহার্য। এই সব অসুখের বেশির ভাগ মলমেই কর্পূর থাকে।
অনিদ্রার সমস্যায় : কর্পূরের গন্ধ ঘুম ডেকে আনতে সাহায্য করে। যারা ইনসমনিয়ায় ভোগেন, ঘুমোনোর আগে বালিশে কয়েক ফোঁটা কর্পূরের তেল দিয়ে ঘুমোলে অনিদ্রার সমস্যা কমে।
প্রদাহ কমাতে : শরীরে আঘাত লাগলে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে কর্পূর মালিশ করলে ব্যথা কমে দ্রুত।
ঠান্ডা লাগা ও গলার সংক্রমণে : সর্দি কাশির উপশমে কর্পূর ব্যবহার করার চল বহু প্রাচীন। এ সময় বুকে-পিঠে কর্পূরের তেল মালিশ করলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমে।
চুলের যত্নে : বাজারচলতি রাসায়নিকের বদলে কর্পূরের তেল ব্যবহার করলে চুলের বাড়বাড়ন্ত যেমন হয়, তেমনই চুল কম ঝরে। যে তেল ব্যবহার করেন তার সঙ্গেও কর্পূরের তেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে মালিশ করতে পারেন, চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকবে।