ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ২:১১:২২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গিনেজ বুক নাম লেখাতে ২৮ ফুট লম্বা কলম তৈরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ৪ মার্চ ২০২০ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে দেশের ও নিজের নাম লেখানোর স্বপ্ন থেকে সেগুন কাঠ দিয়ে ২৮ ফুট লম্বা একটি কলম তৈরি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার যুবক আবদুল্লাহ আল হায়দার (৩০)। কলমের গায়ে তিনি আরবীতে আল্লাহর ৯৯টি নাম ও পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সুরার নাম খোদাই করেছেন।

আবদুল্লাহ আল হায়দার উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের মৃত. শরীফ আব্দুল্লাহ হারুনের ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট হায়দার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।  ইতোমধ্যেই হায়দার কলমটিকে (বলপয়েন্ট) বিশ্বের সর্ববৃহৎ বল পয়েন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদনও করেছেন।

স্বীকৃতি পেতে হলে গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষের দেওয়া ৬১টি শর্ত পূরণ করতে হবে হায়দারকে। তার দাবি, তিনি সবগুলো শর্তই পূরণ করেছেন।

হায়দার জানান, বাড়ির ছাদের উপরই সেগুন গাছ দিয়ে তিনি কলমটি তৈরি করেছেন। ৭৮ কেজি ওজনের এই কলমের দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক ৮ ফুট (৮ দশমিক ৪৭ মিটার) ও  এর ব্যাসার্ধ ১৮ ইঞ্চি। কলমটিতে আরবি হরফে খোদাই করে লেখা হয়েছে আল্লাহর পবিত্র ৯৯ নাম ও পবিত্র কোরআন শরীফের ১১৪টি সূরার নাম। হায়দার নিজেই আরবি হরফে নামগুলো খোদাই করেছেন। আর কলমের নিব তৈরিতে তাকে সহযোগিতা করেছেন মাস্টার ক্রাফটম্যানশিপের হেড ট্রেইনার জাহিদ হোসেন। আর আরবি হরফে লেখাগুলো যাচাইয়ে সহযোগিতা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুর মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক নজরুল ইসলাম বিন সাইদ এবং সদর উপজেলার নরসিংসার গ্রামের জোবায়দা খাতুন মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

হায়দার জানান, গত ২ জানুয়ারি তিনি কলমটি তৈরির কাজ শুরু করেন। এজন্য গ্রামের পাশের লালপুর বাজার থেকে ২৮ হাজার টাকায় ২৫ ফুট লম্বা একটি সেগুন গাছ কিনেন। গাছটি বাড়িতে এনে ছাদে রেখে শুকিয়ে দুইভাগে কাটেন। এরপর ২৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ও আধা ইঞ্চি প্রস্থের স্টিলের পাইপ স্থাপন করে গাছটি আঠা দিয়ে যুক্ত করেন। কলমটির জন্য ১৫ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের নিব বানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের একটি ওয়ার্কশপে ৭ বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অষ্টম বারের চেষ্টায় সফল হন তিনি। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কলম তৈরির কাজ শেষ করেন তিনি।

আবদুল্লাহ আল হায়দার বলেন, কলমটি তৈরির জন্য ১৫ দিন আরবি হরফে লেখার চর্চা করেছেন তিনি। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কলম হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আবেদন করেছেন। গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ তার আবেদনটি গ্রহণ করে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ৬১টি শর্ত দিয়েছে। তার দাবি সবগুলো শর্তই তিনি পূরণ করতে পেরেছেন।

হায়দার বলেন, গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পেরেছেন যে, ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের হায়দরাবাদের আচার্য্য মুকুনুরি শ্রীনিভাসা নামে এক ব্যক্তি ৩৭ দশমিক ২৩ কেজি ওজনের সাড়ে পাঁচ মিটার (১৮ দশমিক ৫৩ ফুট) দৈর্ঘ্যের একটি কলম তৈরি করেছিলেন।

তিনি জানান, রেকর্ডসে নাম লেখাতে পারলে কলমটি তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে উপহার দিতে চান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নরসিংসার গ্রামের জোবায়দা খাতুন মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, কলমে খোদাই করে আরবি হরফে লেখা আল্লাহর পবিত্র ৯৯টি নাম ও পবিত্র কোরআন শরীফের ১১৪টি সূরার নাম তিনি যাচাই করেছেন। সবগুলো নামই নির্ভুলভাবে লেখা হয়েছে।

-জেডসি