ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৮:৫০:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নারী দিবস: সরকারি ছুটি, প্রতিপাদ্য ও ইতিহাসের কালপঞ্জি

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪৭ এএম, ৮ মার্চ ২০২০ রবিবার

নারী দিবস: সরকারি ছুটি, প্রতিপাদ্য ও ইতিহাসের কালপঞ্জি

নারী দিবস: সরকারি ছুটি, প্রতিপাদ্য ও ইতিহাসের কালপঞ্জি

বিশ্বের অনেক দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এর মধ্যে আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কিউবা, জর্জিয়া, গিনি-বিসাউ, ইরিত্রিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজিস্তান,  লাওস,মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মন্টেনিগ্রো, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উগান্ডা, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং জাম্বিয়া।
এছাড়া, চীন, মেসিডোনিয়া, মাদাগাস্কার, নেপালে শুধুমাত্র নারীরাই সরকারী ছুটির দিন ভোগ করেন।

নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য :
১৯৯৬ অতীত উদযাপন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা। ১৯৯৭ নারী এবং শান্তি।  ১৯৯৮ নারী এবং মানবাধিকার। ১৯৯৯ নারী প্রতি সহিংসতামুক্ত পৃথিবী। ২০০০ শান্তি স্থাপনে একতাবদ্ধ নারী। ২০০১ নারী ও শান্তি : সংঘাতের সময় নারীর অবস্থান। ২০০২ আফগানিস্তানের নারীদের বাস্তব অবস্থা ও ভবিষ্যত। ২০০৩ লিঙ্গ সমতা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা। ২০০৪ নারী এবং এইচ আই ভি/এইডস। ২০০৫ লিঙ্গ সমতার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যত। ২০০৬ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী। ২০০৭ নারী ও নারী শিশুর ওপর সহিংসতার দায়মুক্তির সমাপ্তি। ২০০৮ নারী ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ। ২০০৯ নারী ও কিশোরীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে নারী-পুরুষের একতা। ২০১০ সমান অধিকার, সমান সুযোগ- সকলের অগ্রগতি। ২০১১ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ। ২০১২ গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সমাপ্তি। ২০১৩ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়। ২০১৪ নারীর সমান অধিকার সকলের অগ্রগতির নিশ্চয়তা। ২০১৫ নারীর ক্ষমতায়ন ও মাবতার উন্নয়ন।

ইতিহাসের কালপঞ্জি :
১৯০৯ : প্রথম জাতীয় নারী দিবস ২৮ ফেব্রুয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালন করা হয়। আমেরিকার সমাজতান্ত্রিক দল পোশাক শ্রমিকদের ১৯০৮ সালের ধর্মঘটের সম্মানে এই দিনটি মনোনীত করেন।
১৯১০ : কোপেনহেগেন এ আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সভায় নারী দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হয়। নারীদের সর্বজনীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং নারী অধিকারের জন্য আন্দোলনের সম্মান করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে একটি নারী দিবস পালন করার প্রস্তাব দেয়া হয়। ফিনিশ পার্লামেন্ট এ ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারীকে বাছাই করা হয় যেখান থেকে তিন জন নারী নির্বাচিত করা হয়। তবে নারী দিবস কোন দিন পালন করা হবে এই বিষয়ে সেদিন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হইনি।
১৯১১ : কোপেনহেগেনের উদ্যোগের ফলে, আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের উদ্দেশ্যে আস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ড এ ১৯ মার্চ প্রায় এক লাখ নারী ও পুরুষ র্যা লি করেন। এই র্যািলিতে তারা নারীদের জন্য ভোটাধিকার ছাড়াও পাবলিক অফিসে চাকরীর সুযোগ, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাজের উপর নারীদের নিয়ে যে বৈষম্যতা রয়েছে তা দূর করতে বলা হয়েছে।
১৯১৩-১৪ : আন্তর্জাতিক নারী দিবস শান্তি আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রতিবাদী একটি প্রক্রিয়া অংশ হিসেবে গড়ে ওঠে। রাশিয়ান নারীরা তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেন ফেব্রুয়ারীর শেষ রবিবারে। পরের বছর থেকে ইউরোপের অন্যত্র দেশগুলোতে ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। মহিলারা র্যা লি করেন নারী সমাবেশের যুদ্ধ প্রতিবাদ বা অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে।
১৯১৭ : যুদ্ধের প্রতিবাদে রাশিয়ান নারীগণ “ব্রেড ও শান্তি” নামে একটি ধর্মঘট শুরু করেন। তারা ফেব্রুয়ারীর শেষ রবিবারে ধর্মঘটটি পালন করেন। যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৮ই মার্চ হয়। ৪ দিন পর সেখানে নারীদের ভোট দেয়ার অধিকার নিশ্চিত করা হয়।
১৯৭৫ : আন্তর্জাতিক নারী বছর থেকেই জাতিসংঘ ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা শুরু করেন।
১৯৭৭ : নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট দিন ঠিক করার প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত হয়। ঐতিহাসিক ও জাতীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী বছরের কোন একটি দিন পালন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১৯৯৫ : বেইজিং একটি ঘোষণা করেন, যেখানে ১৮৯ জন সরকার একটি ঐতিহাসিক রোডম্যাপ এ স্বাক্ষর করেন, ১২টি সমালোচনামুলক যায়গা নিয়ে। যেন সেই এলাকার মেয়েরা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, পছন্দমত ব্যায়াম করতে পারেন, পড়াশুনা করতে পারেন, চাকরী করতে পারেন এবং সমাজে সহিংসতা ও বৈষম্য মুক্ত হতে পারেন।
২০১৪ : নারীদের অবস্থা নিয়ে কমিশনের ৫৮ তম অধিবেশনে লিঙ্গ সমতা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। জাতিসংঘের সত্ত্বা ও সারা বিশ্ব থেকে স্বীকৃত এনজিও আট মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অগ্রগতি স্টক এবং অবশিষ্ট চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। এমডিজি নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ইউনাইটেড নেশন এর সদস্যগণ ১৯৪৫ সাল থেকে পুরুষ এবং নারীদের মাঝে সমতা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বছরের পর বছর পালাক্রমে এর উন্নতি সাধিত হচ্ছে।