ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৪:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘বুলবুল’ মুভিতে `কলঙ্কিনী রাধা` বলায় নেটফ্লিক্স বয়কটের ডাক

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৪৭ পিএম, ৩ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

‘বুলবুল’ মুভিতে `কলঙ্কিনী রাধা` বলায় নেটফ্লিক্স বয়কটের ডাক

‘বুলবুল’ মুভিতে `কলঙ্কিনী রাধা` বলায় নেটফ্লিক্স বয়কটের ডাক

জনপ্রিয় অনলাইন মুভি সার্ভিস নেটফ্লিক্সে রিলিজ করা বলিউডের হিন্দি মুভি ‘বুলবুল’-এ একটি জনপ্রিয় বাংলা লোকগীতির ব্যবহার নিয়ে ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা অনেকেই মারাত্মক ক্ষেপেছেন। যার জের ধরে নেটফ্লিক্স বয়কট করারও ডাক উঠছে। ছবিটির প্রযোজক অভিনেত্রী আনুষ্কা শর্মাকেও ভীষণভাবে ট্রোলড হতে হচ্ছে।

বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, 'বুলবুল' নামের ওই মুভিতে যে প্রাচীন বাংলা গানটি নিয়ে এই বিতর্ক শুরুর হয়েছে, সেটি হল ''কলঙ্কিনী রাধা''। বাংলাদেশে সিলেটের কিংবদন্তী বাউল শিল্পী শাহ আবদুল করিম যে গানটিকে অসম্ভব জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।

ওই গানে হিন্দুদের ভগবান কৃষ্ণকে যেভাবে ''কানু হারামজাদা'' এবং তার লীলাসঙ্গিনী রাধাকে ''কলঙ্কিনী'' বলে বর্ণনা করা হয়েছে, সেটাকে বিশেষত উত্তর ভারতে অনেকেই হিন্দুত্বের ওপর আক্রমণ হিসেবেই দেখছেন।

এই আক্রমণ ও সমালোচনার মুখে নেটফ্লিক্স ওই মুভির হিন্দি সাবটাইটেলেও কৃষ্ণের বর্ণনায় ''হারামজাদা'' শব্দটি পাল্টে ''নটখট'' (দুষ্টু) শব্দটি ব্যবহার করেছে - তবে আনুষ্কা শর্মা নিজে বা মুভির নির্মাতা সংস্থা এই বিতর্ক নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি।

বস্তুত ''হারামজাদা'' ও ''কলঙ্কিনী'' শব্দদুটির জন্য ইংরেজি ও হিন্দিতে বুলবুলে যে ধরনের সাবটাইটেল ব্যবহার করেছিল তা অনেকের কাছেই রীতিমতো আপত্তিকর ও ''হিন্দুফোবিক'' ঠেকেছে।

যেমন, ইংরেজি সাবটোইটেলে কলঙ্কিনীর জায়গায় ''শেমলেস হাসি'' (লজ্জাহীনা নারী) ও হারামজাদার জায়গায় ''বাস্টার্ড'' (বেজন্মা) লেখা হয়েছিল।

হিন্দিতে ব্যবহার করা হয়েছিল যথাক্রমে বেশরম ও হারামজাদা শব্দ দুটো। পরে অবশ্য হারামজাদা পাল্টে লেখা হয়েছে নটখট শব্দটি।

তবে কলকাতার লোকশিল্পীরা অবশ্য এই বিতর্ককে তেমন আমল দিচ্ছেন না। আর এটিকে হিন্দুত্বর বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে দেখারও কোনও প্রয়োজন নেই বলেই তাদের অভিমত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে এই বিতর্ক তেমন আলোড়ন ফেলতে না-পারলেও উত্তর ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ''হারামজাদা'' বলে ডাকার ঘটনায় রীতিমতো ছি ছি পড়ে গেছে।