ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২, মে ২০২৪ ১৯:২২:০৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আফগান কট্টর সমাজের বিপরীতে নারী ট্যাটু শিল্পী সুরাইয়া

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

ইসলামে ট্যাটুর স্থান নেই, এমন সামাজিক ফতোয়ার বিপরীতে নিজের ট্যাটু স্টুডিওতে কাজ করছেন এই আফগান নারী। সুরাইয়া শহীদী ট্যাটু আঁকার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তুরস্ক এবং ইরানে। আফগানিস্তানের কট্টর পরিবেশে না এসে দেশের বাইরে বসেও ট্যাটু আঁকার কাজ করতে পারতেন সুরাইয়া। কিন্তু সমাজের আরোপ করা ট্যাবু ভাংতে চান তিনি।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সুরাইয়া শহীদি বলেন, ‘আমি চাইলে দেশের বাইরে বসেই কাজ করতে পারতাম। কিন্তু আফগানিস্তানেই কাজটি করত চাই। কারণ এখানে কোন নারী ট্যাটু শিল্পী নেই। আমি মনে করি, পুরুষরা যদি শরীরে ট্যাটু আঁকতে পারেন, নারীদেরও সেই অধিকার আছে।’

কিন্তু ইসলামে কি ট্যাটু আঁকা সম্পর্কে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে? এই বিষয়টি নিয়েও সচেতন সুরাইয়া। তিনি জানান, মৌলবাদীদের একাংশ যেমন ইসলামে ট্যাটুর স্থান নেই বলে জানিয়েছেন, তেমনই আবার অনেকে তার সিদ্ধান্তকে সমর্থনও জানিয়েছেন। এই দুইয়ের সংঘর্ষে যে প্রতিক্রিয়া জন্ম নিয়েছে, তাতেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার এই ট্যাটু পার্লার। দ্বিধা থাকলেও অনেকে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছেন তা। এসে ট্যাটু করিয়ে যাচ্ছেন।

বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই হাতের কবজি, বাহু, গলা আর পায়ে ট্যাটু করাতে বেশি আগ্রহী। মূলত ফুল, লতাপাতা, প্রজাপতির নকশাই তাদের পছন্দ। তবে পুরুষ ক্লায়েন্টদের কয়েকজন বেপরোয়া ডিজাইন পছন্দ করেন। সম্প্রতি এক ক্লায়েন্ট এসে হাতে কবরের ডিজাইন করিয়েছেন, তাতে যা লেখার নির্দেশ দেন তিনি বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘মৃত্যুর কান্ডারী’।

আফগানিস্তানের প্রশাসনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আসছেন তালিবানরা। কিন্তু অনেকেই আশঙ্কা করেন তারা হয়তো আবার ফিরে আসবে। কিন্তু ২০০১ সালের মতো আর নেই আফগানিস্তানের মানুষ, অনেকটা পালটে গেছে বলে মনে করেন শহীদি। তিনি বলেন, ‘এদেশের মানুষ এখন আর নিজেদের অর্জনগুলোকে ছেড়ে দিতে রাজি নন।’ অর্থাৎ তালিবানরা যদি ফিরে আসেও, নিজের ট্যাটু পার্লারের কাজ করে যেতে চান সুরাইয়া। সূত্র: টিবিএস

-জেডসি