ঢাকা, শুক্রবার ২৬, এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪১:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১৮ পিএম, ৩ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন।  ফাইল ছবি।

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। ফাইল ছবি।

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন (৮৫) আর নেই। আজ রোববার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

চ্যানেল আইয়ের অ্যাসাইন্টমেন্ট এডিটর আরেফিন ফয়সাল উইমেননিউজ২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাবেয়া খাতুন এর জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বিক্রমপুরে তার মামার বাড়িতে।  তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত ষোলঘর গ্রামে৷ তার বাবা মৌলভী মোহাম্মদ মুল্লুক চাঁদ এবং মা হামিদা খাতুন। আরমানিটোলা বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা (বর্তমানে মাধ্যমিক) পাস করেন ১৯৪৮ সালে। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে হওয়ায় বিদ্যালয়ের গন্ডির পর তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৫২ সালের ২৩ জুলাই সম্পাদক ও চিত্র পরিচালক এটিএম ফজলুল হকের সাথে রাবেয়া খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের চার সন্তানের মধ্যেে রয়েছে, ফরিদুর রেজা সাগর, কেকা ফেরদৌসী, ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।

রাবেয়া খাতুন শুধু নারীদের কথা বলার জন্য বা নারী সাহিত্যিক হিসেবে নয়, বাংলা ভাষায় সার্বিকভাবেই বাংলাদেশের সাহিত্যিক হিসেবে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

রাবেয়া খাতুন রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক জনপ্রিয় উপন্যাস মেঘের পর মেঘ অবলম্বনে বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র মেঘের পরে মেঘ। এবং ২০১১ সালে তার আরেকটি জনপ্রিয় উপন্যাস মধুমতি অবলম্বনে পরিচালক শাহজাহান চৌধুরী একই শিরোনামে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র মধুমতি। এছাড়াও অভিনেত্রী মৌসুমী ২০০৩ সালে তার লেখা কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি অবলম্বনে একই শিরোনামে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি।

লেখালেখির পাশাপাশি রাবেয়া খাতুন শিক্ষকতা করেছেন। সাংবাদিকতাও করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমীর কাউন্সিল মেম্বার। জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের গঠনতন্ত্র পরিচালনা পরিষদের সদস্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরীবোর্ডের বিচারক, শিশু একাডেমীর কাউন্সিল মেম্বার ও টেলিভিশনের 'নতুন কুড়ি'র বিচারক। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জাতীয় বিতর্কের জুরীবোর্ডের বিচারক ও সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি যুক্ত আছেন বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, ঢাকা লেডিজ ক্লাব, বিজনেস ও প্রফেশনাল উইমেন্স ক্লাব, বাংলাদেশ লেখক শিবির, বাংলাদেশ কথা শিল্পী সংসদ ও মহিলা সমিতির সঙ্গে।

তার প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা সত্তরটির বেশি। তিনি বেশ ‍কিছু ছোটগল্প এবং নাটকও লিখেছেন।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, (১৯৭৩), একুশে পদক, (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৭)সহ নানা পুরস্কারে ভূষিত।