বিদগ্ধ সাহিত্যমোদীরা আমাদের রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বলেন, এই রবী একই সাথে পৃথিবীর সব পৃষ্ঠকে সমভাবে আলোকিত করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ এমন একটি বিষয় এবং তার বিষয়গুলোর এত বেশি গভীরতা, পাঠককূল যার সাথে পরিচিত হতে কমপক্ষে দু’শ’বছর দরকার।

শুভ্রার হাতটা অদ্ভুত ধরণের সাদা। মেহেদীর নকশাও হাতের আসল রঙকে আড়াল করতে পারেনি। মুখের রঙের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যহীন হাত দুটো মনে হয় যেন ওর নিজের নয়। মেকআপের ঝঞ্চাটে আজকাল বিয়ের কনের আসল রঙ বোঝা প্রায় অসম্ভব।

১৯৭১ সাল। গভীর রাত্রি। ভরা জোছনা। বয়ে চলেছে উত্তাল নদী। সেই নদীতে, ঠিক যেন জোছনার রূপ দেখতে দেখতে ভেসে যাচ্ছে একটি মৃতদেহ। একজন শহীদের দেহ।

‘আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে/হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।’ কিংবা সোনালি কাবিন কবিতায়- ‘বধূবরণের নামে দাঁড়িয়েছে মহামাতৃকুল/গাঙের ঢেউয়ের মতো বলো কন্যা কবুল কবুল।’ আবার ‘আম্মা বলেন, পড়রে সোনা/ আব্বা বলেন, মন দে/পাঠে আমার মন বসে না/কাঁঠালচাঁপার গন্ধে।’

কবি আহসান হাবীব বাংলা সাহিত্যের এক পুরোধা পুরুষ। এদেশের একজন খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিক। শিশুদের জন্যেও তিনি লিখেছেন অবিরাম।

সবুজের সমারোহে নতুন প্রাণের বার্তা নিয়ে এসেছে আষাঢ়। আকাশ ছেয়েছে মেঘের ঘনঘটায়। মেঘদূতের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে আষাঢ়। গাছের পাতা, টিনের চাল কিংবা ছাদের রেলিং ছুঁয়ে এবং খোলা আকাশের প্রান্তরজুড়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ার দিন।

আজ পৃথিবীতে এত উচ্ছ্বাস, এত গান এত হাসি…
এত উৎসব এত উদযোগ, এত ভালোবাসা-বাসি…

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র আবীর। স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। বেশ চঞ্চল প্রকৃতির ছেলে সে। কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনার সময় কখনোই কোনো হুঁশ থাকে না। শুধু তাই নয়, গান শুনতে শুনতে বারান্দায় গানের তালে নাচানাচিও করে।
 

এই নগরে এখনো পাখি ডাকে,
ফুল ফোটে। বাতাসেরা গেয়ে যায় মুক্তির গান।
নির্জন ফুটপাতে পড়ে থাকে লাশ। এখানে মধ্য দুপুরে
নেমে আসে রাতের নির্জনতা।

বুঝি না তোমরা কিসের জন্ম, কোত্থেকে হলে উদয়?..
আমার বিবেক বারবার এটা তোমাদের কাছে শুধোয়।
গাছনদীফুল প্রজাপতি নিয়ে লিখলে তো আমি ভালো
মুজিবের কথা লিখলে তখনই পিলে বুঝি চমকালো?

ধীর পায়ে সমুদ্রের তীরে এসে দাঁড়ালো তারা। স্বচ্ছ নীল জল। আকাশও ঝকঝকে নীল। বেলাভূমিতে কাঁকড়ার ঝাঁক হেঁটে যাচ্ছে লাল চাদর হয়ে। নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ।

করোনাভাইরাস আতঙ্কে সারা বিশ্বে চলমান লকডাউনের মধ্যে চুরি হয়ে গেল বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গগের বিখ্যাত চিত্রকর্ম দ্য পার্সোনেজ গার্ডেন অ্যাট নিউউনে ইন স্প্রিং। চিত্রকর্ম চুরির দিনটি ছিল ভিনসেন্ট ভ্যান গগের ১৬৭তম জন্মদিন।

ভাষার মাসের সঙ্গে শেষ হলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা। প্রাপ্তির ভাণ্ডারে যোগ হলো প্রায় ৫ হাজার নতুন বই। তবে, মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল এবারো। পরবর্তী বইমেলা আরো গোছানো হবে এমন প্রত্যাশা বইপ্রেমীদের।

আজ (শনিবার) শেষ হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। শেষ দিন বইমেলার দ্বার খুলবে সকাল ১১টায়। দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে শিশুপ্রহর। মেলার পর্দা নামবে রাত নয়টায়।

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ/
দুপুর বেলার অক্ত/
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়?/
বরকতের রক্ত।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বইমেলা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলার সদস্য সচিব জালাল আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ  সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৩তম দিনে উপচে পড়া ভিড় ছিল। শুক্রবার ছিল শিশু প্রহর। শুক্রবার সকাল ১১ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত একুশের বই মেলায় নতুন বই এসেছে ৩৬৯টি।

দক্ষিণ এশিয়ায় চিত্রকলার সবচেয়ে বড় আয়োজন হিসেবে পরিচিত দ্বিবার্ষিক ঢাকা আর্ট সামিটের পঞ্চম সংস্করণ শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার বিকেলে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের একুশে বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

দেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘অমর একুশে বইমেলা’ আয়োজনে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পুরোদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কারণে এবারের মেলা ১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে।

২০১৯ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছর সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিজ্ঞান-কল্পবিজ্ঞানে নাদিরা মজুমদারসহ পুরস্কার পেয়েছেন ১০ গুণীজন।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এ জন্য অমর একুশে গ্রন্থমেলার তারিখ পিছিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।প্রতি বছর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়।

‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ মর্মবার্তা নিয়ে আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২০’।