ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ৫:২২:৩৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আপনি জানেন কি কলার খোসার উপকারিতা

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৪ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২১ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সুস্থ থাকতে ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সত্য জানে না এমন আর কে আছে। ওজন কমানো থেকে এনার্জি বাড়ানো সবকিছুতেই ডায়েট চার্টে সবার উপরে থাকবে ফল। তবে তার থেকেও যে বেশি উপকারী ফলের খোসা, সে কাথা জানে কজন? এমনটাই এখন দাবি করছেন ডায়েটেশিয়ানরা।

এই যেমন ধরুন কলা। কলার থেকেও নাকি বেশি উপকারী কলার খোসা। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬, বি-১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম যেমন হজমে সাহায্য করে, তেমনই কলায় থাকা প্রচুর পরিমান ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে। কলা যেমন আমরা এমনি খেতে অভ্যস্ত, তেমনি কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে, কলার পুডিং, মাফিন, কেক এমনকী, কলার বড়াও বেশ উপাদেয়।

তবে কলা যেভাবেই খাই না কেন খোসাটি কিন্তু যায় ডাস্টবিনে। অথচ এই কলার খোসাতেই থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ। যা শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়িয়ে তোলে না, যেকোনো সংক্রমণ রুখতেও অত্যন্ত উপকারী। খোসার মধ্যে থাকা লুটিন নামক পদার্থ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও উপকারী। এছাড়া কলার খোসায় থাকা প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি শরীরে রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সবুজ না হলুদ কোন খোসা বেশি উপকারী?

জাপানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজ খোসার থেকে বেশি উপকারী হলুদ খোসা। এই খোসা রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমান ঠিক রেখে ক্যানসার মোকাবিলা করতে পারে। সবুজ খোসার ক্ষেত্রে ১০ মিনিট খোসা সেদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। অন্যদিকে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপ্টোফ্যানের কারণে রাতে ভালো ঘুম হয়। সবুজ খোসার মধ্যে থাকা সিরোটোনিন অবসাদের মোকাবিলা করতেও সক্ষম। আবার ডোপামিনের সাহায্যে কিডনিতে রক্ত চলাচল ভালো হয়।

যেভাবে খাবেন কলার খোসা

নানা রকম ভাবে খাওয়া যায় কলার খোসা। এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলোতে কলার শাঁস ও খোসা প্রায় একসঙ্গেই খাওয়া হয়। এছাড়া বানানা পিল টি বা বানানা পিল স্মুদি উইথ আইসক্রিমও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। কেউ কাঁচা খোসা খেতে পছন্দ করেন, কেউ বা সেদ্ধ করে খেতে পছন্দ করেন। যেভাবেই খান না কেন, খেতে পারলে লাভবান আপনিই হবেন।

কলার খোসার অন্যান্য ব্যবহার

দাঁত সাদা করতে : হলদেটে দাঁত নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই। একটি কলার খোসার নরম অংশটি দিয়ে দাঁতের উপর কিছুক্ষণ ঘষুন। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন। এভাবে একমাস ব্যবহার করুন। দেখবেন দাঁত অনেকটা সাদা হয়ে গেছে।

ব্যথা প্রশমিত করতে : ব্যথার স্থানে সরাসরি কলার খোসা লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। ৩০ মিনিট পর খোসাটি সরিয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্যথা কিছুটা কমে গেছে। এছাড়া ভেজিটেবিল অয়েল এবং কলার খোসা একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। এটিও ব্যথা কমিয়ে দেবে।

ব্রণ রোধ করতে : ব্রণের উপর কলার খোসার নরম অংশটি ম্যাসাজ করুন। এটি প্রতিদিন ৫ মিনিট করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেখতে পারবেন। ব্রণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত এটি ব্যবহার করুন।

ব্যথার কালো দাগ : ব্যথায় কালো হয়ে যাওয়ার দাগ দূর করতে কলার খোসা বেশ কার্যকর। কালো দাগের স্থানে কলার খোসা কিছুক্ষণ ঘষুন অথবা দাগের স্থানে কলার খোসা দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন। এটি সারারাত রাখুন।

রিংকেল হ্রাস করতে : একটি ডিমের সাদা অংশ এবং একটি কলা খোসার ভিতরের অংশ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এ মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করুন ৫ মিনিট। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

এছাড়া কলার খোসা খেলে অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে, অতি বেগুনি রশ্মী থেকে সুরক্ষা দেয়, বলিরেখা দূর হয়, মাটির উর্বরতা বাড়ায়, গহনা পরিষ্কারে কাজে লাগে ইত্যাদি।


-জেডসি