ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১:১১:৩০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

এই প্রথম জন্মদিনে নেই ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১৮ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২১ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনার আবহে দু্ই বছর ধরে বেশির ভাগই উদ্‌যাপন হচ্ছে সীমিত বা ঘরোয়া পরিবেশে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তী অভিনেত্রী কবরী সারোয়ারের ৭২তম জন্মদিনও হয়তো তেমনভাবে পালিত হতো। স্বজন, সহকর্মী ও ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভাসতেন ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত এই নায়িকা। কিন্তু আজ সবাই স্মরণ করলেও তিনি নেই। গত ১৭ এপ্রিল সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান এই তারকা। মৃত্যুর পর এটাই কবরীর প্রথম জন্মদিন।

১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার পারিবারিক নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল ও মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি।

১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কবরীর। তার অন্যান্য জনপ্রিয় ছবির মধ্যে রয়েছে জলছবি, বাহানা, সাত ভাই চম্পা, আবির্ভাব, বাঁশরি, যে আগুনে পুড়ি,  দীপ নেভে নাই, দর্পচূর্ণ, ক খ গ ঘ ঙ, বিনিময়, সুজন সখী, আগন্তুক, নীল আকাশের নীচে, ময়নামতি, সারেং বৌ, দেবদাস, হীরামন, চোরাবালি, পারুলের সংসার, আরাধনা, দুই জীবন ও তিতাস একটি নদীর নাম।

৫ দশকের বেশি সময় চলচ্চিত্রে রাজ্জাক, ফারুক, সোহেল রানা, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। ঢাকার চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন রাজ্জাক-কবরী। ফারুক ও বুলবুল আহমেদের সঙ্গেও তার জুটি জনপ্রিয়তা পায়। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।

২০০৫ সালে ‘আয়না’ নামের একটি ছবি নির্মাণের মাধ্যমে চিত্রপরিচালক হিসেবেও তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। এমন কি ওই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি অভিনয়ও করেছিলেন। এরপর রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পরেন তিনি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। যুক্ত হয়েছেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সাথে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ তে প্রকাশিত হয়েছে তার আত্মজীবনী মূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক।’দৃঢ়চেতা এই মানুষটি হার মানলেন করোনা কাছে। ১৩ দিনের লড়াই করে বেঁচে ফিরতে পারলেন না ‘সারেং বউ’। ৫ এপ্রিল করোনা নিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হন কবরী। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ৮ এপ্রিল তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই ১৭ এপ্রিল (শনিবার) রাত ১২টা ২০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তী শিল্পী।

কবরী আর কোনো দিন ফিরে আসবে না, সামান্য একটু কথা বলতেও নয়। সবাইকে ছেড়ে চিরকালের জন্য চলে গেলেন আমাদের ‘মিষ্টি মেয়ে’ ...


-জেডসি