মাটির ২২০ ফুট নিচে আশ্চর্য ছবির সংগ্রহশালা!
ফিচার ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:২২ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার
মাটির ২২০ ফুট নিচে আশ্চর্য ছবির সংগ্রহশালা!
বিচিত্র সব ছবির সংগ্রহশালা, কিন্তু রয়েছে মাটির প্রায় দুশো ফুট নিচে। তবে এখানে প্রবেশের জন্য সহজে আপনার অনুমতি মিলবে না। প্রথমে সংগ্রহশালার মালিকের অনুমতি প্রয়োজন তারপর আপনার যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে লাগবে চিকিৎসকের অনুমোদন পত্র।
দ্য পিকচার ম্যান: সংগ্রহশালাটি হলেন হল ওট্রো বেটম্যানের। ওট্রোকে বলা হয় ‘দ্য পিকচার ম্যান’। ১৯০৩ সালে জার্মানির লিপজিকে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পেশায় একজন ছিলেন লাইব্রেরিয়ান। কিন্তু ছবির প্রতি ভালোবাসা এবং সমৃদ্ধশালী ছবির সংগ্রহের জন্য তিনি ‘দ্য পিকচার ম্যান’ নামে পরিচিতি লাভ করেছেন।
ট্রাঙ্ক ভর্তি অজস্র ছবি: ৮৬ বছর আগে মাত্র ৩২বছর বয়সে নাৎসী বাহিনীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে জার্মানি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন ওট্রো বেটম্যান। তিনি সেখানে একটি লাইব্রেরিতে কিউরেটর হিসেবে কাজ করতেন। পালিয়ে আসার সময় প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে দুটি ট্রাঙ্ক ভর্তি করে নিয়েছিলেন তাঁর সংগ্রহে থাকা সমস্ত ছবি। নিউইয়র্ক এসে সেই ছবির সংগ্রহের ব্যাপক প্রসার ঘটান।
ছবির সংখ্যা: ১৯৯৫ সালে বিল গেটস তার সমস্ত ছবির স্বত্ব কিনে নেন এবং তখন ছবির সংখ্যা ছিল ১কোটি ৩লাখ। যদিও এই ঘটনার তিন বছর পর মৃত্যু হয় ওট্রো বেটম্যানের। ২০১৬ সালে চীনের সংস্থা ভিসুয়াল চায়নার কাছে এই ছবির সংগ্রহশালাটি বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই ছবিগুলি বিক্রির লাইসেন্স পায় গেটি।
বেটম্যানের রানী: বর্তমানে ‘বেটম্যানের রানী’ নামে পরিচিত লেসলি স্টাউফার এবং সারাহ কুবিয়াক নামক দুইজন নারী দশ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে থাকা এই ছবির সংগ্রহশালার দেখাশোনা করেন। নিউইয়র্ক শহরের আবহাওয়ায় ছবিগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সমস্ত ছবি রেখে দেওয়া হয় চুনাপাথরের এক খনিতে। খনির ২২০ ফুট নিচে রয়েছে এই সংগ্রহশালা। খনির ভিতরে তাপমাত্রার সেভাবে পরিবর্তন হয় না এবং চুনাপাথর থাকায় জলবায়ু সবসময় শুষ্ক থাকে, যা ছবিগুলোকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
প্রবেশের জন্য অনুমোদন পত্র: এই সংগ্রহশালায় থাকা অনেক ছবি এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি তাই সবসময় ছবি প্রেমীরা এখানে ছুটে আসেন। অত্যাধিক ঠান্ডার কারণে দুই মহিলাকে শীতের পোশাক পড়ে থাকতে হয়। এখানে আসতে গেলে পর্যটকদের প্রথমে অনুমতির প্রয়োজন পড়ে ,তাছাড়াও যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের অনুমোদন লাগবে। না হলে সংগ্রহশালায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
