ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭, মে ২০২৪ ১২:১৭:৫৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ৯২তম জন্মদিন আজ

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:২৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আজ কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিন। তিনি পা দিলেন ৯২ বছরে। ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি ব্রিটিশ ভারতের ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে এবছর জন্মদিনে কোনো উদযাপন চান না তিনি।

লতা মঙ্গেশকর বলেন, ‘উদযাপনের কী আছে? মহামারী চলছে এখনও। করোনাভাইরাস আসার পরে এটি আমার দ্বিতীয় জন্মদিন। পরিবার ও প্রিয় মানুষেরা আমার সঙ্গে আছেন, এটাই সেরা উপহার। এমন অনেকে আছেন যারা নিজেদের বামা-মা কিংবা সন্তানদের দেখছেন না এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এমন সময়ে কে কেক কেটে মোম বাতি জ্বালিয়ে জন্মদিন উদযাপনের কথা ভাবতে পারে?’

লতা মঙ্গেশকর আরও বলেন, ‘আমি চাই ভাইরাস আমাদের জীবন ছেড়ে চলে যাক। হয়তো এটি এখন আর মরনব্যধী নেই। তবে আক্রান্ত হওয়ার পরে প্রভাব পড়ে, বিষণ্ণতা ভর করে। আমাদের জীবন গত দেড় বছরে বদলে গেছে। আমাদের স্বাস্থ্য ও প্রিয়জনদের অবহেলা করবেন না। প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই খুব দামী।’

লতা মঙ্গেশকরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাই, বোন, ভাবী সবাই আমার সঙ্গে আছেন। আমি ভাগ্যবতী। আমি চাই ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে ভালবাসতে থাকুক। তাদের শুভকামনাতেই এতদূর আসতে পেরেছি।’

ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক ছিল লতার। মাত্র ১৩ বছর বয়সে মারাঠি সিনেমাতে প্লেব্যাক করেন। দীর্ঘ সংগীতজীবনে লতা মঙ্গেশকর এক হাজারেরও বেশি হিন্দি সিনেমাতে গান করেছেন। এ ছাড়া ভারতের ২০টি আঞ্চলিক ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই। বাংলাতেও তিনি অনেক গান করেছেন।

১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গান গেয়ে লতা মঙ্গেশকরের নাম ওঠে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। এই সময়ে তিনি ২০টি ভাষায় ২৫০০০-এরও বেশি গানে কণ্ঠ দেন। এ রেকর্ডটি ২০১১ সালে ভেঙে দেন তারই ছোট বোন আশা ভোসলে। সংগীতের ইতিহাসে সর্বাধিক গানে কণ্ঠ দেয়ার গৌরব অর্জন করে গিনেস বুক অব রেকর্ড ওয়ার্ল্ডে নাম লেখান আশা। তবে আশা নিজেও তার সংগীতের অনুপ্রেরণা হিসেবে সব সময় বড় বোন লতাকেই মানেন।

আরডি বর্মন, এসডি বর্মন থেকে শুরু করে এখনকার অনু মালিক ও যতিন-ললিতদের মতো সংগীত পরিচালকদের সঙ্গেও সমান তালে কাজ করেছেন লতা।

ভারতীয় প্রথম শিল্পী হিসেবে লতা মঙ্গেশকর লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে অনুষ্ঠান করেন। ১৯৭২ সালে পরিচয় ছবিতে ‘বিতি না বিতাই র্যায়না’ গানের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পান। ১৯৬৯ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৭১ সালে পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন তিনি। ২০০১ সালে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন এই কিংবদন্তি।

সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ লতা মঙ্গেশকর ভারত রত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চারবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ১২ বার বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার।

প্রখ্যাত এ শিল্পীকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অফিসার দে লা দি’ অনার প্রদান করেছে সে দেশের সরকার।

অজানা কারণে কিংবদন্তী শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের চিরজীবন অবিবাহিতই থেকেই গেলেন।