ঢাকা, শুক্রবার ০৩, মে ২০২৪ ১৫:০০:২০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অতিথি পাখির কল-কাকলিতে মুখর জাবি ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২১ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শীতের শুরুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এসেছে অতিথি পাখি। পাখির কল-কাকলিতে মুখর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রঙের পাখি দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা। আর বিশ্ববিদ্যালয়কে অতিথি পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা চেয়েছে জাবি কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, প্রচণ্ড শীত আর খাদ্য সংকটের কবলে পড়ে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে আবহাওয়ার কারণে অতিথি পাখি ছুটে আসে বাংলাদেশে।

এছাড়াও সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, হিমালয় অঞ্চলের প্রচণ্ড শীত ও ভারি তুষারপাতে টিকতে না পেরে পরিযায়ী পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে নাতিশীতোষ্ণ প্রধান অঞ্চলগুলোতে চলে আসে। শীতের রেশ কেটে গেলেই বসন্তের সময়টাতে এসব পরিযায়ী পাখি আবারও তাদের চিরচেনা ভূমিতে ফিরে যায়।

ষড়ঋতুর এ দেশে শীত আসছে উৎসব আমেজে। প্রকৃতির এমন বৈচিত্রময় উৎসবটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটু বেশিই। শীতের শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে আসতে শুরু করে হাজার হাজার অতিথি পাখি। ভোরের আলোয় অতিথি পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে শিক্ষার্থীদের।

প্রতিবছরের মত এবারও সরালী, পিচার্ড, গার্গেনি, মানিকজোড়, ফ্লাইপেচার, পাতারি, চিতাটুপি, লালগুড়গুটিসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখির দেখা মিলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক গুলোতে। প্রায় ২০৫ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে এখানে।

অতিথি পাখি দেখতে আসা দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে নতুন রুপে সেজেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলো। রক্ত লাল শাপলার সৌন্দর্যে মন মাতানো রূপ ধারণ করেছে ক্যাম্পাস। আর ভোর থেকেই পাখি দেখতে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।

এদিকে অতিথি পাখির বাসস্থান ও খাবারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসের লেকগুলোতে শাপলা, আর পাখিদের অবিরাম খেলা, বিমোহিত করেছে দর্শনার্থীদের।

এ বছরও বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল সংলগ্ন লেক, রেজিস্ট্রার ভবন সংলগ্ন লেক, ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার ও সুইমিংপুল সংলগ্ন লেকে পাখি আসতে শুরু করেছে। যারা পানিতে থাকতে পছন্দ করে এবং পানির মধ্যে থেকেই বিভিন্ন গুল্ম উদ্ভিদ ও পোকামাকড় খুঁজে খায়।

পাখি গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বলেন, ক্যাম্পাস লেকে যে পাখি গুলো দেখা যাচ্ছে তা ছোট সড়ালি হাঁস প্রজাতির। শীতের আবহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিথি পাখির সংখ্যাও বাড়বে। আশা করছি গতবারের মতো এবারও ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে অন্যান্য সকল প্রজাতির পাখিরাও চলে আসবে।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষা চলমান থাকায় লেক পারে জনকোলাহল বেড়েছে। এ কারণে জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল সংলগ্ন লেক ও রেজিস্ট্রার ভবন সংলগ্ন লেকে পাখির সংখ্যা কমে গেছে। পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে পাখিরা আবার ফিরে আসবে। ২০১৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে অতিথি পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল-হাসান জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিবছর আসে অতিথি পাখি। জীব-বৈচিত্রে এ এক অন্যরকম অনভূতি। অতিথি পাখির আবাসস্থল পাখিদের রক্ষায় নানা পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে।