ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ৫:২৫:৩২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

জিংক-আয়রন সমৃদ্ধ ধান চাষে সাফল্য 

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

গবেষণায় সাফল্যের পর এবার পরীক্ষামূলকভাবে কৃষক পর্যায়ে জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল বিনাধান-২০ চাষ করে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল উপকেন্দ্র। প্রথমবারের মতো কৃষকের মাঠে নতুন উদ্ভাবিত ধান চাষ করে অধিক ফলন পাওয়ায় এই ধানে উৎসাহ বাড়ছে সাধারণ কৃষকের।

জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ এই চালে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ। জেলার ধান চাষিদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল এই ধান আবাদের জন্য বিনামূল্যে এই বীজ দিয়ে উৎসাহ দিচ্ছে বরিশাল বিনা উপকেন্দ্র। আগামীতে বিনা-২০ ধান জেলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে বলেন মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বরিশাল অঞ্চলে বছরের ৯ মাসে দুটি ফসল ফলিয়ে ভর্ষার সময়ে বাকি ৩ মাস অনাবাদী পড়ে থাকতো কৃষকের জমি। দীর্ঘ ৫ বছরের গবেষণায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বর্ষার সময়ে রোপণযোগ্য জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল বিনাধান-২০ উদ্ভাবন করে। এর আগে ক্ষুদ্র পরিসরে নতুন ধানের পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য পাওয়ায় চলতি মৌসুমে জেলার গৌরনদী উপজেলাতে ২০ বিঘা জমিতে বিনাধান-২০ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল উপ-কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ উচ্চফলনশীল ধান পুষ্টিগুণে ভরা। এই ধান মানবদেহের জন্য বিশেষ করে গর্ভবতীদের উপকারী। এ অঞ্চলের মাটির চাহিদা অনুযায়ী স্বল্প জীবনকালের এই ধান চাষ করে অল্প দিনে কৃষক ফসল ঘরে তুলতে পারবে। এতে কৃষক লাভবান হবেন এবং অন্যান্য ফসল আগাম আবাদ করতে পারবেন। নতুন উদ্ভাবিত এই ধানের জাত কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল উপ-কেন্দ্র বিনামূল্যে বীজ দিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে বলে জানান এই কৃষি বিজ্ঞানী।

এদিকে, বর্ষা মৌসুমে অসময়ে অনাবাদী জমিতে বিনাধান-২০ চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুশি কৃষকরা। বিনাধান-২০ ১২০ দিনে কর্তন হওয়ায় আগাম সরিষাসহ রবিশষ্য চাষ করলে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। এ কারনে নতুন ধানে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল উপ-কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন  জানান, নতুন জাতের ধানের প্রসার ঘটলে আগামীতে খাদ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এছাড়া বিনাধান-২০ এর চাল দিয়ে মুড়ি, চিড়া, খৈ এবং পিঠা তৈরির গুঁড়া ভালো হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম।