শীতে বরগুনার রাখাইন পল্লীতে ব্যস্ত নারী তাঁতিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১২:৩৫ এএম, ৮ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১২:১৮ এএম, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
খটখট শব্দে চলছে তাঁত, ঘুরছে চড়কা। বাড়ছে শীত। আর তাই বাড়ছে ব্যস্ততা। বরগুনার রাখাইন নারীরা শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বুনে চলেছেন নানা রকম কাপড়।
বরগুনা সদর ও তালতলী উপজেলায় রাখাইন পল্লীগুলোতে প্রতি মৌসুমের মতো এ বছরও শীত বাড়ার সাথে সাথে নারী তাঁতিদের ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে। তালতলীর রাখাইনদের হস্তচালিত তাঁতের কাপড়ের কদর রয়েছে দেশব্যাপী।
বছরের অধিকাংশ সময় অলসভাবে কাটালেও নানা উৎসব ও শীত মৌসুম ঘিরে রাখাইন পাড়ায় নারীদের কাপড় বুননের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তাঁতীদের বিভিন্ন ধরনের কাপড় বুননের খটখট শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাখাইন পাড়াগুলো। মূলত বার্মা থেকে আমদানীকৃত সুতা দিয়ে শীতের চাদর, শার্ট পিস, ব্যাগ, শাড়ী, লুঙ্গী ও গামছা বুনে তাঁতীরা তাদের হস্তচালিত তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ সময় পাড়ায় পাড়ায় তাঁতীদের কোলাহল আর কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি বেড়ে যায় আনন্দও।
রাখাইন তাঁতীদের উৎপাদিত বস্ত্রের কদর দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের সর্বত্র। বিভিন্ন রংয়ের সুতা দিয়ে তৈরী লতা, পাতা, ফুল ও বিভিন্ন কারু কাজে তৈরী এ তাঁতবস্ত্র ক্রেতাদের কাছে বেশ কদর রয়েছে। সারা বছর এ সব বস্ত্রের পুরো চাহিদা না থাকলেও পূজা, ঈদ ও শীত মৌসুমে ব্যাপক চাহিদা দেখা যায়। আর এর চাহিদার কথা মাথায় রেখেই তাঁতীরা কাপড় বুননে ব্যস্ত হয়ে উঠেন।
রাখাইন কমিউনিটি নেতা আগাঠাঁকুর পাড়ার উসিট মং জানান, বরগুনা সদরসহ তালতলীর বড়বগী ইউনিয়নের তালতলী পাড়া, ছাতন পাড়া, মনুখে পাড়া, আগাঠাঁকুর পাড়া, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের সওদাগর পাড়া, তালুকদার পাড়া ও সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজ পাড়া, নামিষে পাড়া, লাউ পাড়া ও অংকুজান পাড়ার রাখাইন পল্লীতে ১২ থেকে ১৪টি করে হস্তচালিত তাঁত যন্ত্র রয়েছে। কোন কোন পাড়ায় একই পরিবারে ২ থেকে ৩টি তাঁত যন্ত্রও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
