ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ২:৫৬:১৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রোগমুক্ত জীবনের জন্য প্রতিদিন খান একটি আপেল

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া উপকারী। শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সকলেই এই ফল খেতে পারেন। দীর্ঘায়ু ও রোগমুক্ত জীবনের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে একটি করে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্‍সকরা। সুষম খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর হিসেবে শাকসবজি ও শস্যের যেমন অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে লাল রঙের আপেলের পুষ্টিগুণ সুপারফুডের থেকে কোনও অংশে কম নয়।

একটি মাঝারি সাইজের আপেলের মধ্যে কী কী পুষ্টিগুণ থাকে, তা জেনে নিন-

স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট: ২৮ গ্রাম ফাইবার: ৫ গ্রাম ভিটামিন সি: দৈনিক চাহিদার ১০ শতাংশ পটাসিয়াম: দৈনিক প্রয়োজনের ৫ শতাংশ তামা: দৈনিক প্রয়োজনের ৬ শতাংশ ভিটামিন কে: প্রতিদিনের প্রয়োজনের ৪ শতাংশ
ডায়াবেটিসের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগের ও উচ্চ রক্তচাপের মত সম্ভাব্য ক্ষতিকারক হার্টের সমস্যাগুলির ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আপেল হল বিষ্ময়কর একটি ফল। এই সুপারফলের অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। সেগুলিই জেনে নিন একনজরে-

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম- আপেল হল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল। যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। অন্যদিকে আপেলের পুষ্টিগুণ প্রথম থেকেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণা থেকে জানা গেছে, আপেল ও নাশপাতি খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ কম হতে পারে। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য হিসেবে ও বিভিন্ন পলিফেনলের জন্য এই আপেল অত্যন্ত উপকারী।

ওজন কমাতে সাহায্য করে- প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ওজন বৃদ্ধি যেমন রোধ করে,তেমনি অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। পানি ও ফাইবারের পুষ্ট এই ফল একটি করে খেলে ক্ষুধা মিটে যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে কম ক্যালোরিও প্রবেশ করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আপেলের রস ও পিউরির থেকে একটি গোটা আপেল প্রায় ৪ ঘণ্টা বেশি পেট ভর্তি থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে- বয়সের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ একটি বড় সমস্যা। সঙ্গে উদ্বেগের কারণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে ও সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান।

ওবেসিটির বিরুদ্ধে লড়াই করে- আপেলের সাহায্যে আপনি সফলভাবে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। কারণ এটি ওজন কমানোর জন্য আদর্শ ফল। আপনি যদি ওজন বাড়ানোর জন্য উপায় খোঁজেন বা সময় থাকতে স্থূলতা থেকে বের হয়ে আসতে চান, তাহলে হাই-ফাইবার ও কম চিনিযুক্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

সুস্থ অন্ত্রের জন্য- আপেল হলো পেকটিনের একটি সমৃদ্ধ উত্‍স। যেটি প্রিবায়োটিক হিসেবে শরীরে কাজ করে। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা খাওয়ায় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। অন্যদিকে খাদ্য তালিকায় ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্য হজমের সমস্যা দূর করে।