ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৮:১৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দেড় বছর পর প্রকাশ্যে এসে কাঁদলেন পপি

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২২ বুধবার

পপি

পপি

অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন দেশের নন্দিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি।। আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন, জানিয়েছেন নিজের আড়ালে থাকার কারণও। এবারের নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আক্তার প্যানেলকে সমর্থন জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা পপি।

আজ বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই ফেসবুক ও ইউটিউবে পপির একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাকে কথা বলার সময় কাঁদতে দেখা গেছে।

ভিডিও পপি বলেন, ‘ভেবেছিলাম আর কখনও ক্যামেরার সামনে আসব না। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে নিজের কিছু দায়বদ্ধতা থেকে আজকে কিছু কথা না বললেই না। দীর্ঘ ২৬ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সুনামের সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য অনেক কাজ করেছি। তিন-তিন বার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।’

পপির বলেন, ‘আজ অনেক কষ্ট নিয়ে কথাগুলো বলা। আজ আমি কোথায়। আমি আছি। আমি আছি আপনাদের সকলের মাঝে। হয়তো ভাগ্যে থাকলে আবার ফিরব কাজে। তবে যে কথাটা বলতে চেয়েছিলাম, সেটি হচ্ছে- বর্তমান শিল্পী সমিতির একটি মাত্র ব্যক্তির কারণে, তার পলিটিক্স-নোংরামি এবং অনেক রকম অপকর্মে অসহযোগিতার কারণে আমাকে বার বার অপমানিত হতে হয়েছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু আমি না, আমার মতো রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, নিপুণ, আমাদের সকলকে ব্যবহার করে আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে যে এই চেয়ারটিতে বসেছে; সে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করার চেষ্টা করেছে, যেখানে আমি সায় দিইনি বা আমরা সায় দিইনি।’

পপি বলেন, ‘আজ আমি ভিকটিম। আমাকে অনেক অপমানিত হতে হয়েছে। আমার মতো শিল্পী, যে তিন-তিন বার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, আমার মতো শিল্পীর সদস্যপদ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। একটা শিল্পীর জন্য এত বছর কাজ করার পর কতটুকু অপমানের, সেটা আমি বুঝতে পারি। বা আমার মতো শিল্পীরা, যারা ভিকটিম হয়েছে, ১৮৪ জন শিল্পী, যারা ভিকটিম হয়েছে, তারা হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পারবে। বা আমিও তাদের কষ্টটা বুঝতে পারি।’

তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এই নোংরামির কারণে আমি আমার মানসম্মান নিয়ে থাকার জন্য বা আমার জানের ভয় ছিল, সবকিছু মিলিয়ে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি চলচ্চিত্র থেকে। যদি কখনও পরিবেশ ভালো হয়, এই নোংরা মানুষ বা মানুষগুলো সরে যায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে, তখন আবার কাজ করব।’