ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:২২:৪৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

যশোরের গদখালীর বাগানজুড়ে  হিমশীতল দেশের টিউলিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৪ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

যশোর হিমশীতল দেশের ফুল টিউলিপ। গরমের এ দেশে এর দেখা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কিন্তু শীত-গ্রীষ্মের বাধা পেরিয়ে গাজীপুর দিয়ে শুরু হয়েছিলো টিউলিপের বাংলা জয়ের গল্প। এবার সেই শীত প্রধান দেশের টিউলিপ চাষে সফল হয়েছেন ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীর ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন। তার বাগানজুড়ে ফুটেছে রাজসিক সৌন্দর্যের  এ ফুল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, বাংলাদেশের মতো গরমপ্রধান দেশে টিউলিপ ফোটানো রীতিমতো সাধনার বিষয়। ইসমাইলের টিউলিপ চাষের মধ্যদিয়ে গদখালীতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নেদারল্যান্ডস এ ফুল রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ দেশে টিউলিপ চাষ করতে যা যা প্রয়োজন, সব করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইসমাইলের পাঁচ শতক বাগানে টিউলিপ সারি সারি ফুটে রয়েছে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই একের পর এক ফুটতে শুরু করেছে এ ফুল। বিভিন্ন রঙয়ের ফুল ফুটেছে বাগানে। দারুণ এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ। ফুলগুলো একটি ছাউনি দিয়ে চাষ করা হচ্ছে। পলিথিন দিয়ে ঢাকা। আর চারপাশ ঢাকা ছোট ছিদ্রযুক্ত নেট দিয়ে। পুরো শেডটিতে বিশেষ পদ্ধতিতে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করা হয় সূর্যের  আলো।
ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের দেশে ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফুলচাষে জড়িয়ে  আছে কৃষি অর্থনীতির একটি অংশ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ফুলচাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠলেও আমরা পিছিয়ে আছি। অর্থনীতি ও চাহিদার কথা চিন্তা করে নানা প্রতিবন্ধকতার পরও থেমে থাকিনি।তিনি আরো বলেন, প্রথমে পরীক্ষামূলক চাষ করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ চাষ করার চেষ্টা করছি। তবে এ দেশে ফুল ফুটলেও পরবর্তীকালে রোপণের জন্য টিউলিপগাছের বাল্ব সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বাল্ব সংরক্ষণ করতে হয়। তাই এটা টিউলিপ চাষের বড় সীমাবদ্ধতা। এছাড়া বিদেশ থেকে বাল্ব আনতেও উল্লে ­খযোগ্য অঙ্কের শুল্ক লাগে।গদখালীর ফুল চাষিরা জানান, বাণিজ্যিক চাষের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের জলবায়ুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টিউলিপ ফুলের জাত উদ্ভাবন করতে গবেষণা চলছে। তাদের প্রত্যাশা, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে টিউলিপের পরীক্ষামূলক চাষ সাফল্যের মুখ দেখবে। ফুলের বাজার ছাড়াও স্থানীয় পর্যটন শিল্পের প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘নেদারল্যান্ডস থেকে সরকারি খরচে সাত প্রকারের পাঁচ হাজার বাল্ব আমদানি করা হয়। ওই বাল্ব ইসমাইল হোসেনের ৫ শতক জমিতে গত ৬ জানুয়ারি বপন করি। ২২ জানুয়ারি থেকে টিউলিপ ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সানরাইজ, অ্যান্টার্কটিকা হোয়াইট (সাদা), লা বেলা রেড (লাল), মিল্কশেক রেড (লাল) প্রজাতির টিউলিপ ফুটেছে। পর্যায়ক্রমে সাত প্রজাতিরই ফুল ফুটবে বলে আশা করি। আমরা ফুলের রাজ্য গদখালীকে মিনি নেদারল্যান্ডস হিসেবে পরিচিত করে তুলতে চাই।’