ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ২:২৯:৫৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বেগুনের সম্ভাবনাময় জাত বারি-৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ২০ মে ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মেহেরপুর সদরের আমঝুপি গ্রামের কয়েকজন কৃষক হাইব্রিড-৪ জাতের বেগুন চাষ করেছেন। এতে ফলন হয়েছে দ্বিগুণ। লাভ ও হচ্ছে বেশি। দেশি বেগুনের অটুট স্বাদ, আকারে বড়, ধরেও বেশি আবার খরচও কম। কৃষি বিভাগ মনে করছে বেগুন চাষের সম্ভাবনাময় নতুন জাত বারি-৪।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে তারা বীজ সংগ্রহ করেন এবং সেখানকার কর্মকর্তাদের পরামর্শে এই বেগুনের চাষ করেন। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম, সার ও কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তাও কম লাগে এতে। 

বিএডিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, এ জাতের বেগুন চাষে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি ভোক্তারা বিষমুক্ত দেশি বেগুনের স্বাদ পাচ্ছেন। সারা বছরই হাইব্রিড-৪ জাতের বেগুন আবাদ হওয়ায় অনেক কৃষক এ বেগুন চাষে ঝুঁকছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম আগে দেশি বেগুনের আবাদ করতেন। একদিকে পোকা মাকড় ও পাখির আক্রমণ, অন্যদিকে ফলন কম হত। খরচ বাদ দিয়ে লাভ করা কঠিন ছিলো। মেহেরপুর বিএডিসি’র বীজ প্রত্যয়ন বিভাগের  পরামর্শ অনুযায়ী তিনি গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে হাইব্রিড বারি-৪ জাতের বেগুন আবাদ করেন। ছয় মাস ধরে তিনি জমি থেকে বেগুন সংগ্রহ করেছেন। এক বিঘা জমিতে ছয় মাসে ২ থেকে ৩ টন বেগুন পেয়ে বেশ লাভ করেছেন। এ বছরেও তিনি ২ বিঘা জমিতে এ জাতের বেগুনের আবাদ করেছেন। ক্ষেতের প্রতিটি গাছে ঝুলছে বেগুন। একেকটি বেগুনের ওজন প্রায় এক থেকে দেড় কেজি। 

শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছর হাইব্রিড-৪ জাতের বেগুনের আবাদ করেছি। ছয় মাস ধরে বেগুন সংগ্রহ করব জমি থেকে। দুই বিঘা জমিতে অন্তত ১১ থেকে ১২ টন বেগুন পাওয়া যাবে। 


তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বেগুনের চেয়ে সুন্দর ও মসৃণ হওয়ায় এই বেগুনের চাহিদা বেশি। দামও ভালো। তাছাড়া বাইরের জেলার ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যান। প্রতি কেজি বেগুন বাজারে খুচরা বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পাইকারী বিক্রি করি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আমার দেখাদেখি এবার অনেকেই এ জাতের বেগুনের আবাদ করেছে। এক বিঘা জমিতে ৫ টন বেগুন উৎপাদনের আশা করছি।

মেহেরপুর সদরের চাঁদবিল গ্রামের কৃষক আবু সিদ্দিক বলেন, আগে ইসলামপুরি ও কটকটি জাতের বেগুনের আবাদ করতাম। বেগুন তুলতে একটু দেরি হলে বোটা পচে যেত। পাখি ও পোকার আক্রমণ অনেক বেশি ছিলো ওই বেগুনে। বেশি ধরলেও ওজনে কম হতো। এ বছর হাইব্রিড-৪ জাতের বেগুন আবাদ করেছি। একেকটি বেগুনের ওজন হয়েছে এক থেকে দেড় কেজি। আমাদের মতো অনেকেই এ বছর এই বেগুনের আবাদ করে বেশি বেশি লাভ পাচ্ছেন।

মেহেরপুর বীজ উৎপাদন খামারের সহকারী পরিচালক নাহিদুজ্জামান বলেন, বছরের সব সময় এ বেগুন উৎপাদন করা সম্ভব। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ বেগুন চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। বাজারে চাহিদাও বেশি।


মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, মেহেরপুরের জমি সবজি চাষের জন্য উপযোগী। এ বছর অধিকাংশ কৃষকই বারি-৪ জাতের বেগুন আবাদ করেছেন। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে এ বেগুন সংগ্রহ করবেন কৃষকরা। এতে লাভও বেশি হবে।