ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:০৪:২৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ডালে ডালে দুলছে গোলাপি রঙের লিচু

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩০ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঘন সবুজ পাতাকে ঢেকে দিয়েছে গোলাপি রঙের লিচু। বাতাসে থোকায় থোকায় লিচু দোলছে গাছের বিভিন্ন ডালে। কোথাও আবার গাছ থেকে খাঁচা দিয়ে লিচু নামানো হচ্ছে। ৫০ ও ১০০ লিচু দিয়ে আঁটি বাঁধছেন ব্যাপারিরা। এমন দৃশ্য এখন গাজীপুরের শ্রীপুরের বিভিন্ন লিচু বাগানে। বিভিন্ন জাতের লিচুর আবাদ হওয়ায় উপজেলায় এমন দৃশ্য চলবে আরও এক মাস।

জেলার শ্রীপুরে দিন দিন উন্নত জাতের লিচুর আবাদ করছেন চাষিরা। গত দু’বছর করোনা মহামারিতে লিচু বিক্রি হয়েছে কম। এবারের ফলন ও বিক্রি কমপক্ষে এক বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বেশিরভাগ চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলাম মৃধার দেশি জাতের লিচু গাছ রয়েছে দেড়’শ, কদমী জাতের ৬০, বোম্বে জাতের ১০ এবং ভেরারী জাতের কয়েকটি। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে কদমী এবং বোম্বে জাতের লিচুর বাজার ভালো।’

শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামের লিচু চাষি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশি এবং উন্নত জাতের লিচুর পরিচর্যা একই রকম। পাতি বা দেশি জাতের গাছ থেকে প্রতি লিচু ১.৫০ টাকা বিক্রি করতে পারি। উন্নত জাতের লিচু ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত গাছে রেখে বিক্রি করা যায়। ’ দেশি বা পাতি লিচুর চেয়ে উন্নত জাতের লিচু চাষের প্রতি চাষিদের আহবান জানান তিনি।

নারায়নগঞ্জ থেকে আসা ব্যাপারি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘লিচু শ্রমিকের মজুরি আগের মতোই। করোনার মহামারির তুলনায় এবার লিচুর বেচাবিক্রি ভালো। গত দুই বছর লিচু বাগান কিনলেও বিক্রি করতে পারিনি। ভোজ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন খরচ অন্য বছরের চেয়ে বেশি। ’

লিচু ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, ‘আড়াই লাখ লিচু কিনছি ৩ লাখ টাকায়। ফলন ভালো হওয়ায় লিচুর দাম বাজারে কিছুটা কম। আকার আকৃতির দিক থেকে অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রম হওয়ায় রাজধানীর বাজারে চাহিদা কম।’


ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি, তা এবছর পুষিয়ে নিতে পারবো। প্রায় ১৩ লাখ লিচু কিনেছি। ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন বাগানে। বৃষ্টির কারণে পানি সেচ না দেওয়ায় খরচ কমেছে।’


চাষি এনামুল হক বলেন, ‘এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বাগানের লিচু অনেক ঝরে যাওয়ায় আমাকে লোকসান গুণতে হবে এবার।’

গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, গাজীপুর জেলায় ১৫০০ হেক্টরের বেশি জমিতে লিচুর আবাদ হয়। মোট আবাদের প্রায় অর্ধেক হয় শ্রীপুর উপজেলায়।

শ্রীপুরের উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এবার শ্রীপুরে ৭৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে দেশি বা (পাতি চায়না-৩) ৫০ হেক্টর, কদমী ৪০ হেক্টর, বোম্বে ১৫৫ হেক্টর, ভেরারী ১৫ হেক্টর ও বাকিগুলো দেশি বা পাতি জাতের লিচু।