ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ২:২৬:৫৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ঈদকে সামনে রেখে টুং টাং শব্দে মুখরিত কুমিল্লার কামার পল্লী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ৫ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

কেউ লোহা গরম করছে। কেউ ঠাস ঠাস পেটাচ্ছে। কেউ পানি মারছে। কেউবা আবার ধূপিতে (হাওয়ার ফুলকি) আগুন দিচ্ছে। হাপর টানছে কেউ কেউ। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাজ। এ হল বর্তমান কামারপল্লীর চিত্র।
ঈদুল আজহায় কোরবানীর পশু জবাই ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য ধারালো ছুরি ও দার কদর বেড়েছে। ভিড় বাড়ছে ছুরি, চাপাতি, বঁটি, দার দোকানে। এ কারণে কুমিল্লার কামার পাড়ায় বেড়েছে ব্যস্ততা। শহরের মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে ধারালো ছুরি। তবে এবার চীনের ধারালো ছুরির পরিবর্তে দেশীয়ভাবে তৈরি ছুরি ও রামদা বেশি বিক্রি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলার রাজগঞ্জসহ শহরের কয়েকটি এলাকায় বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া ছাড়ানো, গোস্ত কাটা, জবাই করার বিভিন্ন ধরনের বড় ছুরি, রামদা, চাকু, বঁটি, কাঠের গুঁড়ি। কুমিল্লার বাজারে দেশীয়ভাবে তৈরি ছুরি দেখা যাচ্ছে। দেশীয়ভাবে তৈরি বিভিন্ন মানের ছোট ছুরি ২০ থেকে ৬০ টাকা, একটু বড় ছুরি ৬০ থেকে ১০০ টাকা, রামদা ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, বঁটি বিভিন্ন মানের আকারের ৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চা পাতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় ধারালো ছুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এর সাথে বার্মিজ ও চীনের তৈরি সিলভার রঙের মান অনুযায়ী চকচকে চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, ছোট ছুরি ১০০ টাকা, পশু জবাই করার ছুরি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, দা ৩০০ থেকে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে শেষ মহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার কর্মকাররা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানীর ঈদে তাদের কাজ হয় অনেক বেশি হয়। সরজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় পেশাদার কামার শিল্পীরা কুমিল্লা শহরের রাজগঞ্জ, চকবাজার, রানীরবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, ছোরা, কুড়াল, চাপাতিসহ নানা ধরনের জিনিস বানানোর কাজে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মকাররা।
কথা হয় মানিক চন্দ্র কর্মকারের সঙ্গে। তিনি বাসসকে বলেন কোরবানী এলেই দা, বটি, ছুরি, চাপাতি তৈরির পড়ে। তখন কাজের চাপে আমাদের নির্ঘম রাত কাটাতে হয়। সব মিলিয়ে ভালোই দিন কাটছে। 
সুনীল চন্দ্র বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদে চাকু, হাঁসুয়া, বঁটি, ছুরি ইত্যাদি বেশি তৈরি করতে হয়। এ সময় আমাদের বেচা-বিক্রিও ভালো হয়।  
কুমিল্লা বিসিক স্টেট অফিসার আবু কাশেম জানান, জেলার এসব কর্মকারদের কারিগরি এবং আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধার জন্য কর্মকার সার্ভে করা হচ্ছে।