রাজাপুর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০২ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২২ বুধবার
ফাইল ছবি
ঝালকাঠির রাজাপুর থানা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস মঙ্গলবার। স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে নয় নম্বর সেক্টরের মধ্যে বৃহত্তর বরিশালের রাজাপুরের আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানিরা। আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হয় রাজাপুর থানা, বন্ধ হয় গণহত্যা।
১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনী রাজাপুর থানা আক্রমণ করে। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। রাতভর যুদ্ধের পর ২৩ নভেম্বর ভোর রাতে পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। রাজাপুর থানা ছিল বরিশাল সাব-সেক্টরের অধীনে। সাব-সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। রাজাপুরের কানুদাসকাঠিতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হওয়া সংগ্রাম চলাকালে রাজাপুর থানা কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন কেরামত আলী আজাদ। ২৩ নভেম্বর রাজাপুর থানা মুক্ত হওয়ার খবর পেয়ে আশপাশের মুক্তিকামী মানুষ ছুটে এসে থানা দখলে নেয়। দিনটিকে ঘিরে পতাকা উত্তোলন, র্যালি, সভাসহ নানা আয়োজন করা হবে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষ থেকে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম নান্নু বলেন, ওই যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ও হোসেন আলী নামের দুজন মুক্তি বাহিনীর সদস্য শহীদ হন। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন। সে দিনের যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ৩ শতাধিক সদস্য অংশ নিয়েছিলেন। তবে এখনও যথাযথভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। দ্রুত সংরক্ষণ করে আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার দাবি জানান তিনি।