সিরীয় শিশুদের নতুন ঠিকানা তুরস্ক
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১০:৩৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০১:৩৭ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার
সিরীয় শিশুদের নতুন ঠিকানা এখন তুরস্ক। সিরিয়ার যে শিশুরা যুদ্ধের কারণে তুরস্কে পালিয়ে এসেছে তাদের অনেকের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে তুরস্কের শিশুদের সঙ্গে একই স্কুলে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া শিশুদের পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে, এখন সেখানে প্রায় তিন লাখ ৫০ হাজার শিশু এখন পড়াশোনা করছে। তুরস্কের গাজিয়ানটেপে অবস্থিত স্কুলের নাম সারায়িলান স্কুল। এতে পড়াশোনা করছে এমন কিছু শিশু রয়েছে, যারা দুই দেশের নাগরিক। কিছু রয়েছে তুরস্কের, কিছু সিরিয়ার। একই বয়স তাদের, স্কুলের ড্রেসও একই রকম। একটা শ্রেণিকক্ষ, যেটা সব বাধা-বিপত্তির ঊর্ধ্বে।
সিরিয়ার এই শিশুদের মধ্যে এখনো এতটাই ভীতি কাজ করে যে, যে তারা বাইরে যখন খেলছিল তখন একটা বিমান যাচ্ছিল। তারা ভয়ে ওই দেখো - বোমা বলে সবাই চিৎকার করে উঠেছিল। এই স্কুলের একজন শিক্ষক মোহাম্মদ আলি চিনার বলছিলেন, যদি সিরিয়ান শরণার্থীদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় তখন তারা তুরস্কের মধ্যেই একটা নিজেদের জগৎ তৈরি করবে যেখানে তুরস্কের অস্তিত্ব থাকবে না। তারা এখানকার কাউকে চিনবে না, এখানকার নিয়মকানুন সম্পর্কেও জানবে না।
তুরস্ক থেকে আসা আরিফ বলছে তার কাছে খুব ভালো লাগে বন্ধু তৈরি করতে। তার মতে সিরিয়া এবং তুরস্কের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সিরিয়াতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তুরস্ক ৩৫ লাখ সিরিযার নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশ ভালোভাবেই স্বাগত জানিয়েছে দেশটি। সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা পরিবারগুলোর শিশুদের তুরস্কের স্কুলেই পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থে। এখানেই এই শিশুরা একে অপরকে চেনা-জানার সুযোগ পাচ্ছে।
তবে কিছু কিছু এলাকা সংরক্ষিত। সেখানে সিরিয়া এবং তুরস্কের নাগরিকরা খুব একটা মেলামেশা করতে পারে না। স্কুলে তুরস্কের ভাষাই শিখছে সিরিয়ার শিশুরা । তবে তারা অন্যান্য ক্লাসেও যোগ দিতে পারে। মিশ্র এই স্কুলগুলোর লক্ষ্য হলো পূর্বের সব ধ্যানধারণা পাল্টে দেয়া। সিরিয়ান শিশুদের একটা প্রজন্ম যারা যুদ্ধের মধ্যে জন্ম নিয়েছে তুরস্ককেই এখন নিজেদের বাড়ি বলে পরিচয় দেয়, সিরিয়ার কথা এক হিসেবে ভুলেই গেছে তারা।
