ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ৮:৫৮:৫৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অলস স্বামীকে দিয়ে কাজ করানোর ৫ উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

নারী তার স্বামীকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি যে অভিযোগটি করে তা হলো, স্বামী অলস, একদমই কাজ করতে চায় না। কর্মঠ পুরুষের দেখা যে মেলে না, তা নয়। তাদের জীবনসঙ্গীরাও ভাগ্যবতী। কিন্তু অলস স্বামীকে নিয়ে মুশকিলে থাকেন অনেক নারী। নানা উপায় খুঁজে বের করেও কাজ হয় না। আপনার স্বামীও যদি এমন হন অর্থাৎ কাজ করতে চান না তবে কৌশলে সামলে নিতে হবে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

খরচের বিষয়ে তাগাদা দিন

আপনার স্বামী যদি কাজ না করে অলস শুয়ে-বসে দিন কাটাতে চান তবে তাকে সংসার খরচের বিষয়টি মনে করিয়ে দিন। সমস্ত দায়িত্ব তার সঙ্গে ভাগ করে নিন। আপনি একদিক সামলালে তাকে একদিক সামলাতে দিন। সম্ভব হলে ঘরের খরচ বাড়িয়ে দেখান। এতে তিনি চাপে পড়ে হলেও কাজ করবেন, উপার্জনের চেষ্টা করবেন।

দায়িত্ব দিন

সংসারের খরচ নিজের ঘাড়ে নিয়ে রাখবেন না। যদি আপনি চাকরিও করেন তবু নিজে সব দায়িত্ব নেবেন না। সংসারে স্বামী ও স্ত্রী হলো একটি সাইকেলের দুটি চাকার মতো। তার কোনো একটি অচল হলে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। একথা তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন। অলসতার স্বভাব তার থাকতেই পারে, তবে আপনি সেই স্বভাব কোনোভাবে প্রশ্রয় দেবেন না। দায়িত্ব ভাগ করে দিলে তিনি সেই অনুযায়ী চলার চেষ্টা করবেন।

ঘরের কাজ করতে দিন

ঘরে থাকলে তাকে শুয়ে-বসে অলস সময় কাটাতে দেবেন না। তাকে ঘরের কাজ করতে দিন। নানা ধরনের কাজই থাকতে পারে, সেগুলো নিজে করার পাশাপাশি তাকেও করতে দিন। এতে তিনি ঘরের কাজের মূল্যায়ণ করতে শিখবেন। সেইসঙ্গে অলসতাও দূর হবে। ঘরে এবং বাইরে সমানভাবে কাজ করতে আগ্রহী হবেন।

অলসতার ভিন্ন কারণ নেই তো?

আপনার স্বামী যদি হঠাৎ করেই অলসতা শুরু করেন অর্থাৎ কাজ বন্ধ করে ঘরে বসে থাকেন, তবে সতর্ক হোন। এর পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে। হয়তো অফিস থেকে ছাটাই করা হয়েছে বা অন্যকিছু। তাই শুরুতেই তাকে দোষারোপ না করে আগে কারণ খুঁজে বের করুন। কিছু ঘটে থাকলে তার সমাধান করার চেষ্টা করুন। 

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

বিশেষজ্ঞের মতে, কেউ কেউ ছোটবেলা থেকেই অলস স্বভাবের হয়। তারা সহজে কোনো কাজ করতে চায় না। মা-বাবা সহ্য করে নিলেও ঝামেলা বাঁধে ঘরে স্ত্রী আসার পর। এরপরও যদি তারা অলস শুয়ে-বসে দিন কাটাতে চায় তখন সত্যিই মুশকিল। আবার এ ধরনের মানুষকে রাতারাতি বদলে ফেলাও যায় না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলে।