কদম ফুলের সুবাসের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন কৃষ্ণ!
অনু সরকার
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৪৮ পিএম, ১৬ জুন ২০২৩ শুক্রবার
ফাইল ছবি।
বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান,/আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান॥/মেঘের ছায়ায় অন্ধকারে রেখেছি ঢেকে তারে/এই-যে আমার সুরের ক্ষেতের প্রথম সোনার ধান॥ ...প্রিয় কদম ফুলকে নিয়ে গানে গানে এভাবেই বলেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বর্ণে গন্ধে সেরা এই ফুলের সঙ্গে বাঙালির পরিচয়ও বহু প্রাচীন। বর্ষার বাতাসে ভেসে আসা কদমের গন্ধ মনকেও আকুল করে তোলে। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের সম্পর্ক নিবিড়। বর্ষার আগমনী বার্তা বা দূত হিসেবে কদম ফুল হল প্রতীক। বর্ণে গন্ধে সেরা এই ফুলের সঙ্গে বাঙালির পরিচয়ও বহু প্রাচীন।
বর্ষার বাতাসে ভেসে আসা কদমের গন্ধ মনকেও আকুল করে তোলে। কিন্তু এই ফুল বাস্তুতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কদম্ব ফুল দেখতে যেমন সুন্দর ও আরাধ্য তেমনি উপকারীও বটে। কদম্ব গাছের ধর্মীয় গুরুত্বও রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে কদম্ব গাছটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। শৈশবে, তিনি প্রায়ই কদম্ব গাছে বসে থাকতেন। ঘরে কদম্ব গাছ লাগালে বাস্তুমতে কী কী উপকার ও প্রতিকার মেলে, তা জেনে নিন...
কদম্ব ফুল নিয়ে একটি কাহিনি রয়েছে যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একবার যমুনার তীরে স্নানরত গোপীদের বস্ত্র চুরি করেছিলেন। সেই সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের লোকলজ্জার পাঠ শেখানোর জন্য একটি কদম গাছে উঠে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। আজও মানুষ যমুনার তীরে নিধিবনে কদম ফুলের গাছ দেখতে যায়।
কদম্ব ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও ভগবান বিষ্ণুর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তাই পুজোয় এর ফুল ব্যবহার করে ভগবান সন্তুষ্ট হন। ভগবান বিষ্ণুকে কদম্ব ফুল নিবেদন করলে বৃহস্পতি গ্রহ অনুকূল হয়। পাশাপাশি বৃহস্পতি গ্রহ থেকেও শুভ ফল পাওয়া যায়।
বাস্তু মতে, কদম্ব ফুল ঘরে লাগালে ঘরে ইতিবাচকতা বজায় থাকে। পাশাপাশি ভক্তরা লক্ষ্মী নারায়ণের আশীর্বাদ পান। পাশাপাশি ওই ব্যক্তির অর্থনৈতিক অবস্থাও সঠিক থাকে।
কদম ফুল চর্মরোগের জন্যও ব্যবহৃত হয়। প্রাচীনকালে এই গাছের নির্যাস চর্মরোগের চিকিত্সার জন্য পেস্ট তৈরি করতে ব্যবহৃত হত। এই গাছের নির্যাস মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই পেস্ট নিয়মিত মুখে লাগালে মুখের সৌন্দর্য বজায় থাকবে।
যদি কোনও ব্যক্তি লিভারের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে কদম ফুলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। লিভার সুস্থ রাখতে কদমের ফল ও ফুল খেতে পারেন।